বাংলাদেশে পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী এবং ওপার বাংলায় তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত জয়া আহসান এবার অভিনয় করেছেন ইরানি চলচ্চিত্রে। মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ‘ফেরেশতে’ নামের এ চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শেষ হয় গত বছর।
এবার ৫৪তম গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ফিচার ফিল্ম’ বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘ফেরেশতে’। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে স্বীকৃত এ উৎসব ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (আইএফএফআই) নামেও পরিচিত। প্রতি বছর নভেম্বরের শেষ দিকে ভারতের উপকূলীয় শহর গোয়ায় এ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রের অফিসিয়াল পোস্টারও প্রকাশ করা হয়েছে, যে পোস্টারটি ডিজাইন করেছেন চিত্রশিল্পী আজাদ খোরশিদী। ইরানের সিনেমা ‘ফেরেশতে’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জয়া আহসানের ‘সি তে সিনেমা’। তিনি বলেন, ‘ফেরেশতে সিনেমাটি মানবিক মূল্যবোধ ও অনুভূতির মিশেলে তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও রীতিনীতির সৌন্দর্য খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন নির্মাতা, যা বিশ্ব দরবারে চলচ্চিত্রবোদ্ধা ও দর্শকদেরও ভীষণভাবে মুগ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস’।
বাংলাদেশ ও ইরান দুই দেশেই সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। জয়া আহসান বলেন, এ সিনেমায় কাজ করাটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পরিচালকসহ পুরো টিম ওদের দেশের ভাষায় কথা বলে। তবে চলচ্চিত্রের তো ভাষা নেই। সে কারণে আমরা সবাই অদ্ভুতভাবে সংযোগ করতে পেরেছি ওদের টিমের সাথে’।
সিনেমায় নিজের অভিনীত চরিত্র প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, আমাদের দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর মধ্যে যে সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্র রয়েছে, আমাদের চারপাশে দেখা এমনই একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি’। এ চলচ্চিত্রে জয়া আহসান ছাড়াও বাংলাদেশের আরো বেশ কজন শিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী অভিনয় করেছেন। পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের সাথে সিনেমাটি লিখেছেন বাংলাদেশের ড. মুমিত আল-রশিদ। ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন ড. মুমিত আল-রশিদ ও ফয়সাল ইফরান।
জানা গেছে, শুধু গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-ই নয়, আসছে জানুয়ারিতে ২২তম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪’র উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবেও ‘ফেরেশতে’ নির্বাচিত হয়েছে। ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘ফেরেশতে’ সিনেমাতে সহ-প্রযোজক হিসেবে আছে ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ।