শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৬

খুলনায় শীতের প্রস্তুতিতে নিক্সন মার্কেট-ক্লে রোডে উপচে পড়া ভিড়, শৈত্য প্রবাহের প্রস্তুতি

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

খুলনার নিক্সন মার্কেট–ক্লে রোডে শীতের পোশাক কেনায় উপচেপড়া ভিড়, সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কায় বাড়ছে ব্যস্ততা।

আজ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ), খুলনা নগরীর নিক্সন মার্কেট ও ক্লে রোড এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড় ও দীর্ঘ যানজট। সামনে শৈত্যপ্রবাহ নামতে পারে এমন আশঙ্কায় শীতের পোশাক কিনতে শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবার ঢল নেমেছে এই পুরো বাজারজুড়ে। ফলে ফুটপাত, দোকান, রাস্তা—সব জায়গায় তৈরি হয়েছে তীব্র ভিড় ও চলাচলে অসুবিধা।

আজকের আবহাওয়া অনুযায়ী খুলনায় দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ডিসেম্বরের স্বাভাবিক গড়ের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। দিনের বেলায় আবহাওয়া হালকা উষ্ণ থাকলেও বিকেল ঘনাতেই বাতাসে শীতলতা বাড়ছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা নেমে আসছে ১৫–১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা হাওয়া খুলনা অঞ্চলেও প্রভাব ফেলতে পারে—যা ছোট আকারের শৈত্যপ্রবাহেও রূপ নিতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে নিক্সন মার্কেটের পাইকারি ও খুচরা দোকানে চলছে বিক্রির ধুম। সোয়েটার, উলের টুপি, মোজা, জ্যাকেট, কম্বল—সব ধরনের শীতের পোশাক কেনার জন্য মানুষের ভিড় বাড়ছে ঘণ্টায় ঘণ্টায়। বাজারের দোকানিরা বলছেন, এ বছর শীত একটু আগেই নামতে শুরু করায় বিক্রি জমে উঠেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সুলভ মূল্যের পোশাক পেতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন।

তবে বাড়তি ভিড়ের কারণে ক্লে রোড, নিউমার্কেট মোড় ও আশপাশের রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। মোটরসাইকেল, রিকশা ও ইজিবাইকের চাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে যানবাহন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও ক্রেতা—তাদের দাবি, বাজার এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার না করলে বিকেলের পর চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

শীতের তীব্রতা বাড়ার আভাসে যে প্রস্তুতি এখন দেখা যাচ্ছে, তা আরও কয়েক দিন বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতা—উভয় পক্ষের। ক্রেতারা বলছেন—শৈত্যপ্রবাহের আগেই প্রয়োজনীয় শীতের জামাকাপড় সংগ্রহ করে রাখাই এখন সবার প্রধান লক্ষ্য।

খুলনার আবহাওয়া ও বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে শহরজুড়ে শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে, আর সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের কেনাকাটার ব্যস্ততা—ঠিক অগ্রহায়ণের শীতের মতোই ধীর, কিন্তু নিশ্চিত ভাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *