
|| শেখ শাহরিয়ার | খুলনা প্রতিনিধি ||
সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এস এম সাজিদ হাসান। রবিবার (১৫ জুন) রাত ৯ টার দিকে নগরীর ময়লাপোতা মোড় সংলগ্ন খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বর্ণনা দিয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, গুলিবিদ্ধ জাহিদ হাসান রিক্সাযোগে শিববাড়ি মোড় থেকে বাগমারা বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করতে থাকে। তাকে বহনকারী রিক্সাটি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনে রূপসা অটোমোবাইল গ্যারেজের সামনে আসার পর জাহিদ হাসান বিষয়টি আঁচ করতে পারে এবং রিক্সা থেকে নেমে আত্মরাক্ষার জন্য দৌড় দেয়। কিন্তু মোটরসাইকেলে থাকা ওই দু’জনের মধ্যে একজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে একটি গুলি জাহিদেরে বাম কোমরে এবং অপরটি ডান পায়ের হাটুর উপরে বিদ্ধ হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে একই জায়গায় ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
ঐ একই সময়ে (রাত ৯ টার দিকে) ময়লাপোতার সোনাপোতা স্কুলের বিপরীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন নয়ন শেখ (২২) নামের এক যুবক। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে তার সমস্ত শরীর কুপিয়ে জখম করে।
বর্তমানে আহত দু’জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আহত এসএম সাজিদ হাসান নগরীর বাগমারা চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ের বাসিন্দা এস এম জাহিদ আলীর ছেলে এবং আহত নয়ন লবণচরা থানাধীন হরিণটানা কাঁচাবাজার সংলগ্ন মকবুল শেখ মিঠুনের ছেলে।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার ব্যাপারে কেউ কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরাধী যেই হোক না কেন তারা আইনের উর্দ্ধে নয়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।