
|| মোঃ রফিকুল ইসলাম | নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||
কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তা, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এর ফলে নদের অববাহিকার নিচু এলাকায় বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে, যদিও এখনো কোনো ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেনি।
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। দুধকুমারের ভাঙনে সদর উপজেলার কচাকাটার ধনিরামপুর,শৌলমারী, নারায়নপুরের বালারহাট, কালারচরসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে নদীভাঙন চলছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি, মসজিদ ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও শত শত ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানান, ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এ কারণে তারা বাধ্য হয়ে নিজেদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। তারা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার লেবু মিয়া বলেন, “দুধকুমারের পানি বাড়ার সাথে সাথে এই বানিয়াপাড়ার প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যাদের ঘর-বাড়ি নদীর কিনারে পড়েছে, তারা সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুরো বানিয়াপাড়া গ্রাম নদীর গর্ভে চলে যাবে।”
কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদহ হোসেন জানান, তরিরহাটে তিনটি পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রে বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। দুপুর ১২টার তথ্য অনুযায়ী, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে অন্যান্য নদের পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তিনি আরও জানান, ভাঙনকবলিত ৩০টি পয়েন্টের মধ্যে ২০টিতে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।