
|| কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ||
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ মোট ৪৪ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ। বুধবার (৭ মে) ভোর ও সকালবেলায় পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, ভারতের আসাম রাজ্যের দক্ষিণ সালমারা মানকারচর জেলার শাহপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ৩০ জন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ভোররাতে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে পাঠায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর বিজিবির রৌমারী বিওপি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা ২৭ জনকে আটক করেন। একই সময় রৌমারী থানা পুলিশের একটি দল আরও ৩ জনকে আটক করে, যাদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
আটকদের মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা ও ৮ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানায় বিজিবি।
অন্যদিকে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুনহাট বাজার এলাকা থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ৮ জন শিশু-কিশোরী। পরে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তাদের কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রৌমারী সীমান্তে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, “আটকদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহাবুব-উল হক বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বিস্তারিত তথ্য প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।”
স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আরও কঠোর তৎপরতা চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন।