শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

এ বছর কমেছে হজযাত্রী নিবন্ধন, সময় শেষ হবে ৬ ফেব্রুয়ারি

পবিত্র হজ পালনে এ বছর নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে চার দফা। তবে সৌদি আরবের দেওয়া কোটার প্রায় ৬৩ শতাংশ এখন পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

হজ পালনে যেতে আগ্রহী কয়েকজন ও কিছু এজেন্সির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর ডলারের মূল্য, হজের ব্যয় ও সৌদি আরবে বাড়িভাড়া বেড়েছে। পাশাপাশি পবিত্র ওমরাহ পালনে আগ্রহ বেড়েছে মানুষের। সব মিলিয়ে হজযাত্রী নিবন্ধন কমেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময় ৬ ফেব্রুয়ারি। পরদিন হজযাত্রীর সংখ্যা সৌদি সরকারকে জানিয়ে বাকি কোটা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীর কোটা রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজার ৮৬২ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৫ হাজার ৬৯৭ জন।

প্রাক্‌-নিবন্ধন করা ব্যক্তিদের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে বাকি টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর, যা গত ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথমে সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম বলেন, কেউ কেউ পরে হজ পালন করবেন, এমন ইচ্ছার কারণে ওমরাহর যাত্রী বেড়েছে। পবিত্র মক্কা ও মদিনায় পুরোনো বাড়িগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুরোনো বাড়ির ভাড়া ছিল কম, নতুনগুলোর বেশি। মক্কার মিসফালা এলাকার সব বাড়ি ভেঙে নতুন করে করা হচ্ছে। মদিনায়ও বাঙালিপাড়াখ্যাত এলাকার সব বাড়ি ভাঙা হচ্ছে।

বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রী কোটা ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন (২০২২ সালে করোনার কারণে ছিল ৬০ হাজার)। মাঝে দুই বছর নিবন্ধন বন্ধ ছিল। ২০১৭ ও ২০২২ সালে কোটা পূরণ হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে যান ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। ২০১৯ সালে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩। আর গত বছর গেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। ওই বছরও নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল কয়েক দফা।

হজের খরচের পুরোটা ডলারনির্ভর আর বেশির ভাগ খরচ হয় সৌদি আরব অংশে। যেমন ২০১৯ সালে খরচ ছিল ৫ হাজার ডলার। ডলার ছিল ১০০ টাকা। এখন সেই খরচ ৬ হাজার ডলার, দাম ১২৫ টাকা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে, চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ৯ মে সৌদি আরবে হজযাত্রী যাওয়া শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *