
|| ইবি প্রতিনিধি ||
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিলফামারী জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন নিলফামারী জেলা সমিতির নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় অতিথিদের এবং নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নং কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
মোঃ রাউফুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এবং মাসুম বিল্লাহ ও সাবিনা ঔশির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আরমিন খাতুন

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার শিক্ষার্থী মোঃ ইউসুফ আলী, গোলাম রাব্বানী, আমিরুল ইসলামসহ নবীন-বর্তমান ও প্রবীণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ সময় নিলফামারী জেলা সমিতির নবগঠিত কমিটির সভাপতি মোঃ রাউফুল্লাহ খান বলেন, “আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নীলফামারী জেলা সমিতির আয়োজনে নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে নবীনদের মাঝে সংগঠনের মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রবীণদের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে।

আমরা বিশ্বাস করি, এই ধরনের আয়োজন সংগঠনের ঐক্যকে আরও দৃঢ় করবে এবং ভবিষ্যতে নীলফামারী জেলা সমিতিকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।”
সাধারণ সম্পাদক বলেন, নীলফামারী জেলা সমিতির পক্ষ থেকে নবীন সদস্যদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। সংগঠনের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় প্রবীণ সদস্যদের অবদানের জন্য রইল গভীর কৃতজ্ঞতা। আগামীতেও সমিতির সকল কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা ও সদয় সমর্থন কামনা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন বিভাগের অধ্যাপক ও জেলা সমিতির উপদেষ্টা ড. আরমিন খাতুন বলেন, আজকের এই প্রোগ্রামে আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক অভিব্যক্তির দ্বারা চমৎকারভাবে নবীনদেরকে গাইড করার চেষ্টা করা হয়েছে , বিষয়টি আমার কাছে দারুন লেগেছে এরকম গাইডলাইন যখন আমার জেলার বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ছেলে-মেয়েরা দিতে পারে, তখন আমরা মনে করি আমার ছেলে মেয়েদের কাছে নবীনরা নিরাপদ। আমি যখন শুনতে পাই ‘জাগো বাহে, কোনঠে সবায়’ তখন আমার স্নায়ু সজাগ হয়ে যায়!’।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যখন আপদ-বিপদ হয়, তখন সবার আগে যেখানে এসে আশ্রয় পাওয়া যায় সেটা হলো জেলা সমিতি। আর এখানেই জেলা সমিতির সার্থকতা।
তিনি আরো বলেন, যার যেখানে যাকে একোমোটেড করার সুযোগ আছে, সেখানেই একোমোটেড করেন। উদাহরণ হিসেবে পিয়ন পোস্টে একোমোডেট করার সুযোগ থাকলে সেখানেই করেন। জেলা সমিতির উদ্দেশ্যই হবে যার যেখানে যাকে রিক্রুট করার সুযোগ থাকছে তাকে সেখানেই রিক্রুট করা।
এসময় এলামনাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন সবচেয়ে বড় কাজ হল আমার বর্তমান শিক্ষার্থীদের টেনে তোলা। এখন আমরা যদি এলামনাই ও তাদের কর্মক্ষেত্রের লিস্ট করে বর্তমানদের ছাত্র জীবন থেকেই তাদের সাথে ছোট ভাই বোন হিসেবে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে পারায় জেলা সমিতির উদ্দেশ্য। আজকের মূল কথা হলো এলামনাইদের কানেক্টিভিটিটা ধরে রাখা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, বিদায়ী শিক্ষার্থীরা ৫-৬ বছর পড়াশোনা করে অনার্স এবং মাস্টার্স দুইটি ডিগ্রী অর্জন করেছেন, এখন আপনাদের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাকিয়ে আছে, আপনি যে বিভাগে পড়াশোনা করেছেন সে বিভাগ তাকিয়ে আছে, আপনি যে এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন সেই এলাকার মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। সুতরাং আর আপনার বসে থাকার সময় নাই। যার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ অনুসারে নিজেকে প্রস্তুত করুন, দেশ ও সমাজ গঠনে অবদান রাখবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিবৃন্দ, নবীণ, প্রবীণ ও সাবেকদের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।
