|| প্রফেসর ড. আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, ইবি, কুষ্টিয়া ||
আমরা অনেকেই মানবিক, বিজ্ঞান, সামুদ্রিক বিজ্ঞান, মৎস্য বিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় প্রশাসনের বিভিন্ন সাবজেক্টের গবেষকগণ আল কুরআন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট রেখে গবেষণায় দারুন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এ ধরনের একটি ইতিবাচক বিষয় আমাকে অত্যন্ত আনন্দিত ও উদ্বেলিত করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা অনুষদ (৪জন) বিজ্ঞান অনুষদ (৭ জন), আর্কিটেক্ট (বুয়েটে তিনজন পিএইচডি গবেষক) সামরিক বিজ্ঞানী (৫ জন) এবং ব্যবসায় প্রশাসনের কিছু গবেষক যোগাযোগ করেন।
দীর্ঘ আলোচনায় তারা এ বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হতে পেরেছেন যে, বিশ্বের যেকোন বিজ্ঞানের শাখার সাথে আল কুরআনের রয়েছে এক মহা যোগসূত্র। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে সে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলেও তাদের অনেকে মতামত ব্যক্ত করেন। তারা আমার কাছে দু একটি বিষয়ে ছিটে ফোটা কিছু দিক-নির্দেশনা পেয়ে আনন্দিত এবং অভিভূত হন।
গত দু’মাসে হাজী দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “সভ্যতা বিকাশে আল কুরআনের বর্ণিত উদ্ভিদবিজ্ঞানের ভূমিকা”, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে “অঙ্গ সংযোজন বিষয়ক সেমিনার”, “চিকিৎসা বিজ্ঞানে আল-কুরআনের পথ নির্দেশনা” বিষয়ে একটি জাতীয় অনলাইন সেমিনার এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারে
“আল-কুরানে শিশু পরিচর্যা”
এ ৪টি সেমিনারের ৩টিতে কী-নোটি স্পিকার এবং একটিতে মুখ্য আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়।
সেমিনারগুলোতে প্রাজ্ঞজনদের আলোচনায় আমি বিশেষভাবে উপকৃত হই। এবং আমার কাছে এ বিষয়টি স্পষ্টত প্রতিভাত হয়েছে যে, মহাসমুদ্র আল কুরআন সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস। এখানেও প্রচুর গবেষণা শিরোনাম নির্ধারণের স্কোপ রয়েছে।
আরেকটি বিষয় স্পষ্ট যে বিশ্বের কেউই পন্ডিত নন। জ্ঞানের কোন সীমানা বা পরিধিও নেই। তাই বিশ্বের সকল জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ে এককভাবে কেউ দিক-নির্দেশনা, পরামর্শ দিতে পারেন না।
তবে হ্যাঁ, জ্ঞানের বিশেষ শাখায় চর্চা করতে করতে তিনি সে বিষয়ে যতটুকু বুঝেন, অন্যরা ততটুকু সেভাবে খেয়াল করেন না।
আরেকটি বিষয় জ্ঞানের যত চর্চা হবে, অন্যের সাথে এ বিষয়ে যত শেয়ার করা যাবে, জ্ঞানের শাখাগুলো তত প্রসারিত হবে। তাই আমি বিষয়গুলো সবার সাথে শেয়ার করছি।
দেশে-বিদেশে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আল কুরআন বিষয়ে গবেষকদেরকে আমার সাথে যোগাযোগের জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। যাতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের অবহিত করতে পারি। আশা করি, গবেষণা ক্ষেত্রে যা তাদের উপকারে আসবে।
১. যারা শিরোনাম নির্ধারণ সমস্যায় সম্মুখীন, মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খেতে থাকেন।
২. আল কুরআন বিষয়ে কি কি গবেষণা হয়েছে সেটা জানতে।
৩. কোন বিশ্ববিদ্যালয় কে কোন সালে আল কুরআন বিষয়ে কি কি গবেষণা করেছেন, সে বিষয়ে অবহিত হতে (বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন বিষয়ে গবেষণা শিরোনাম আলহামদুলিল্লাহ আমার জানা আছে।)
৪. ডিগ্রি হয়েছে এমন বিষয়ে পূণ গবেষণা হয় না। তাই কি কি বিষয় ডিগ্রি হয়েছে, সেটি প্রত্যেক গবেষকের জানার জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করা একান্ত জরুরী।
আগ্রহীরা ফিল্ড বাছাই করে সম্ভাব্য দু’চারটে বিষয় লিখে আমার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের ইনবক্সে নক করুন। গবেষণা করবেন না অনর্থক সময় নষ্ট করার জন্য কেউ নক করবেন না দয়া করে।
লেখক: অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ এবং সাবেক ডিন, থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।