মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯

প্রবন্ধ

ইলমুন নুবুওয়াহ সনদের উপর প্রতিষ্ঠিত
ধর্ম ও দর্শন, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

ইলমুন নুবুওয়াহ সনদের উপর প্রতিষ্ঠিত

|| প্রফেসর ড. মো: মযনুল হক, ইবি. কুষ্টিয়া ||ইলমুন নুবুওয়াহ বলতে নবুওয়াতী জ্ঞান, ঐশী জ্ঞান বা ঐশী প্রত্যাদেশকে বুঝানো হয়। এ জ্ঞানের বিভাজন করা হয়ে থাকে দু’ভাবে১. ওহী মাতলু -যা সালাতে পাঠ করা হয় ইবাদাত হিসেবে-আল-কুরআনুল কারীম২. ওহী গায়রু মাতলু-যা পঠিত হয় না ইবাদাত হিসেবে-আল-হাদীস বা সুন্নাহউম্মাতে মুহাম্মদীর জন্য এতদুভয়কে আকড়ে ধরা ওয়াজিব।রাসূল সা. বলেছেন: আমি দু’টো জিনিস তোমাদের নিকট রেখে গেলাম, যদি তোমরা এ দু’টোকে আকড়ে ধরো তাহলে পথ ভ্রষ্ট হবে না- ১. আল্লাহর কিতাব এবং ২. আমার সুন্নাহ (মুয়াত্বা ইমাম মালেক, ২/৮৯৯)।রাসূল মুহাম্মদ সা. এর উপর ওহী বা ঐশী জ্ঞান -ইলমুন নুবুওয়াহ- এর সূত্রপাত হয়েছিল হেরা গুহায় আল্লাহর প্রত্যাদেশসহ জিবরাঈল আ. এর আগমণের মাধ্যমে। আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত হাদীস: জিবরাঈল আমীন এসে বললেন: পড়, রাসূল সা. বললেন আমি তো পাঠ করতে পারি না-আমি পাঠকারী নই। তিনি বললেন: জি...
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভাবনা: তাপদাহ এবং পাপদাহ
অভিমত, আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভাবনা: তাপদাহ এবং পাপদাহ

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি, কুষ্টিয়া ||তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ ডিগ্রির বেশি ও ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এর বেশি হলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। ২০২৩ইং পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এ বছর গত ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪২.৭ ডিগ্রিতে, সেই চুয়াডাঙ্গায়।অব্যাহত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত ও সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে- এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-ঝড়, বন্যা, খরা, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়া, জীববৈচ...
আকিদাহ, ঈমান ও পতনোম্মুখ মুসলিম বিশ্ব
ধর্ম ও দর্শন, প্রবন্ধ

আকিদাহ, ঈমান ও পতনোম্মুখ মুসলিম বিশ্ব

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি. কুষ্টিয়া ||(আমায় ক্ষমা করবেন। আমার এ লেখা কাউকে আঘাত দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বৈশ্বিকভাবে উম্মাহর চেতনাকে শাণিত করার উদ্দেশ্যে নিবেদিত।)আকিদাহ শব্দটি আমাদের দেশে বহুল প্রচার লাভ করেছে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে আসা কতিপয় শায়খ দ্বারা। আমরা ঈমান আমল ঠিক করার কথা শুনতাম এক সময়, আর এখন শুনি আকিদাহ সহীহ করার কথা- যার অর্থগত দিক দিয়ে একই রূপ মনে হলেও ভিন্ন উদ্দেশ্যে এর ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। যেহেতু এতে বহির্দেশের অর্থ প্রণোদনা জড়িত, কাজেই এর গতি উলম্ফ।আকিদাহ শব্দটি কুরআন ও সুন্নাহর কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। কাজেই আকিদাহ সহীহ করার কথাও কুরআন-হাদীসে নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আদম আ. থেকে শুরু করে মুহাম্মদ সা. পর্যন্ত কোন নবী-রাসূলকে এই মিশন দিয়ে দুনিয়ায় পাঠাননি। নবী-রাসূলগণের মিশন ছিল ঈমানের আহবান, কুফর ও শিরক সম্পর্কে সতর্কীকরণ। এরই ধারাবাহিকতায় রাসূল মুহা...
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী
ধর্ম ও দর্শন, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

শবে কদর বা লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি. কুষ্টিয়া ||শব’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী। আর কদর আরবী শব্দ যার অর্থ সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবী হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমাদান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত।লাইলাতুল কদর অনন্য বৈশিষ্ট্যাবলীর অধিকারী:রমাদান মাস পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস। আল্লাহ তা’আলা বলেন: {شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْءَانُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ} ‘রমাদান মাস! এমন একটি মাস যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে মানবের মুক্...
সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোযা ও দুই ঈদ পালন সম্ভব কী?
ধর্ম ও দর্শন, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোযা ও দুই ঈদ পালন সম্ভব কী?

|| প্রফেসর ড. মোঃ ময়নুল হক, ইবি, কুষ্টিয়া ||আল কুরআনের ভাষ্য হলো: فمن شهد منكم الشهر فليصمه রমজান মাস যে পেল সে যেন রোযা রাখে। সুরাতুল বাকারাহ: ১৮৫।রমজান মাস পাওয়া অর্থ- রমজান মাসে জীবত থেকে যে ঐ মাসের চাদকে দেখতে পাবে তার উপর রোযা ফরয হবে। হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন: صوموا لرؤيته وٱفطروا لرؤيته،فإن غمي عليكم الشهر فعدوا ثلاثين চাদ দেখে তোমরা রমজানের রোযা রাখো এবং চাদ দেখে রোযা ভাংগো। যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে/অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে/চাদ তোমাদের দৃষ্টি সীমার আড়ালে থাকে তাহলে মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করো। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমার রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন: لا تصوموا حتى تروا الهلال ولا تفطروا حتى تروه، فإن غم فٱكملوا العدة ثلاثين তোমরা রমজানের নতুন চাদ না দেখে রোযা রেখো না এবং শাওয়ালের নতুন চাদ না দেখে রোযা রাখা ছেড়ে দিওনা। চাদ তোমাদের দৃষ্টিসীমার আড়ালে থাকল...
তারাবিহের সালাতে কুরআন তিলাওয়াত ও খতম
ধর্ম ও দর্শন, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

তারাবিহের সালাতে কুরআন তিলাওয়াত ও খতম

|| ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট ||পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাস মাহে রমযান। এ ব্যাপারে কুরআনুল কারিমের সুরা বাকারাহ এর ১৮৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, “রমযান মাস, এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।” তাই রমযান মাসেই কুরআন তিলাওয়াত ও খতমে সাওয়াব অত্যন্ত বেশি। কুরআন তিলাওয়াত এর ফজিলত সম্পর্কে বিশিষ্ট সাহাবি ইবনু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি কুরআনের একটি বর্ণ পাঠ করবে সে একটি নেকি অর্জন করবে। নেকি দশগুণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হবে। আমি বলছি না যে, (আলিফ-লাম-মিম) একটি বর্ণ। বরং 'আলিফ’ একটি বর্ণ, ‘লাম’ একটি বর্ণ ও ‘মীম’ একটি বর্ণ।” হাদিসটি সহিহ। (জামে তিরমিযি)।মহাগ্রন্থ কুরআন আল্লাহ তাআলার নিকট পাঠকারীর জন্য শাফাআত করবে। এ প্রসঙ্গে আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন...
“শব-ই-বরাত বা মধ্য শা’বানের রাত এর ফযিলত”
ধর্ম ও দর্শন, প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

“শব-ই-বরাত বা মধ্য শা’বানের রাত এর ফযিলত”

|| অধ্যাপক ড. মো: ময়নুল হক, ইবি. কুষ্টিয়া ||গতকাল ইবিতে ছিল শব ই বরাতের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল। আলোচকদের সবার শেষ আলোচক হিসেবে আমাকে দেয়া হয়েছিল আট মিনিট সময়, যা বলার ছিল তার কিছুই বলতে পারি নাই। এরপর ফেবুতে একজন অর্বাচীনের বক্তব্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ। অবশেষে ফেবুতেই ফেরা যদি জাতির খেদমতে আল্লাহ এ প্রচেষ্টাটুকু কবুল করেন সে আশায়-আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা –আদ-দুখানের চতুর্থ নং আয়াতে বলেন: ﴿فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ﴾ এতে(এই রাতে) প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়াদি বন্টিত হয়ে থাকে। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইকরামাহ রা. অন্যান্য মুফাসসিরীন থেকে বর্ণিত হয়েছে- এটা নিসফে মিন শা’বান (যা আমাদের দেশে প্রচলিত ফার্সী শব্দ-শবে বরাত) এবং অধিকাংশ মুফাসসিরীন বলেছেন, এটি লাইলাতুল ক্বদর এর রাত, যা শবে ক্বদর নামে আমাদের কাছে পরিচিত।ব্যাখ্যাগুলোর ব্যাখ্যা করলে বুঝা যায়, কুরআন নাযিল হয়েছে লাওহে...
ইহুদী যায়নবাদী চেতনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত
প্রবন্ধ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি

ইহুদী যায়নবাদী চেতনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি ||যায়নবাদ ইহুদী রাজনৈতিক চেতনার নাম। ইংরেজীতে বলা হয়- Zionism, হিব্রু ও আরবীতে বলা হয় ‌ছহিইয়ুনিয়্যাহ। আল-কুদস শহরে অবস্থিত ছহিইয়ুন পাহাড় এর সাথে সম্পর্কিত করে ইহুদীদের রাজনৈতিক সংগঠন তৈরী করা হয়েছে- ছহিইয়ুনিয়্যাহ। তাদের দাবী অনুযায়ী দাউদ (আ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ছহিইয়ুনকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল (খ্রি.পূর্ব ৯৬০-১০০০)। দার্শনিক বারনাবাম ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে হারকাতু আহিব্বা ছহিইয়ুন (ছহিইয়ুনকে যারা ভালোবাসেন তাদের আন্দোলন) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে যায়নবাদীদের (ছহায়েনাহ) প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।বহুদিন ধরেই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ইহুদী জাতি গোষ্ঠী নির্যাতিত হচ্ছিল, তাদেরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছিল। ঐসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল- ইহুদী বিশ্বাসঘাতক জাতি। যার খায় পরে তাকেই গলাটিপে হত্যা করে। দেশ ও জাতির ক্ষত...
“ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতায় জেগে উঠুক মুসলিম উম্মাহ”
প্রবন্ধ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি

“ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতায় জেগে উঠুক মুসলিম উম্মাহ”

|| মো: ওমর ফারুক ||মুসলিম জাতির প্রথম কিবলা বলা হয় মসজিদুল আকসা তথা বায়তুল মুকাদ্দাসকে। যে স্থানটি সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যিয়ারত করা শরীয়ত স্বীকৃত। মসজিদটি ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূখণ্ড জেরুজালেম শহরে অবস্থিত।মসজিদুল আকসার সাথে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের স্মৃতি। সংশ্লিষ্টতা রয়েছে রাসুলে করিমের পবিত্র মিরাজ শরীফের অলৌকিকা ঘটনার। মহান আল্লাহ তাআলা যার চতুর্পাশকে করেছেন বরকতময়। যার কারণে পবিত্র মক্কা-মদীনার ন্যায় এই পূণ্যভূমিটি প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে গভীর প্রেম, ভক্তি ও ভালোবাসার স্থান দখল করে রয়েছে। অথচ, এই পবিত্র ভূমিটি আজ ইহুদীদের দখলে।১৯৪৮ সালে ইহুদীবাদী অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের পর বায়তুল মুকাদ্দাসের আশপাশসহ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর চলে জুলুম-নির্যাতনের স্টীম রোলার। ধারাবাহিক অত্যাচারের পাশাপাশি ১৯৬৭ সালে ইহুদীবাদী শক্তি মসজিদটি দখল করে নেয়। নিজ ভূখণ্ডে টিকে থাকতে ও বায়তুল মুকাদ্দাস ...
গাযযাহ হিয়াল ইজ্জাহ (গাজাই প্রকৃত সম্মান)
প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী), সভ্যতা ও সংস্কৃতি

গাযযাহ হিয়াল ইজ্জাহ (গাজাই প্রকৃত সম্মান)

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি ||শত শত নবী রাসূলের পদভারে ধন্য যে ভূমি তার নাম ফিলিস্তিন। রাসূল সা. এর মিরাজের স্মৃতিবিজড়িত মাসজিদুল আকসা মুসলমানদের প্রথম কিবলা, যেখানে একটি সালাত আদায় করলে দুই শত পঞ্চাশ সালাতের সওয়াব পাওয়া যায়। পৃথিবীতে তিনটি মাসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করাকে বৈধ বলেছেন রাসূল সা.- মাসজিদুল আকসা তার একটি।ওমার ইবনুল খাত্তাব রা. এর শাসনামলে এ অঞ্চল মুসলিম শাসনাধীনে আসে। কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের আবারো নজর পড়ে ফিলিস্তিনের দিকে। আমরা জানি গাজী সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী (রহ.) বহু যুদ্ধে এসব ক্রুসেডারদের পরাস্ত করেন এবং প্রতিবারই তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন।সর্বশেষ উসমানীয় খেলাফতের চারশত বছর নিরঙ্কুশভাবে ফিলিস্তিন ছিল মুসলিম শাসনাধীন অঞ্চল।আমাদের ভাষায় যাকে গাজা বলে জানি, তা আরবদের কাছে পরিচিত গাযযাহ হিসেবে। আর এই অঞ্চলটিই ফিলিস্তিনবাসীর ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করে ...