বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১

সভ্যতা ও সংস্কৃতি

বেলকুচিতে কাব ক্যাম্পুরীর তাবু জলসায় প্রথম বেলকুচি শিশু একাডেমি কাবের নৃত্যদল
সভ্যতা ও সংস্কৃতি

বেলকুচিতে কাব ক্যাম্পুরীর তাবু জলসায় প্রথম বেলকুচি শিশু একাডেমি কাবের নৃত্যদল

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা ৫ম কাব ক্যাম্পুরীর মহা তাবু জলসায় প্রথম হয়েছে বেলকুচি শিশু একাডেমি কাবের নৃত্যদল। এতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ৫০টি দলের মধ্যে এ নৃত্যদলটি প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করে। দলটির প্রশিক্ষক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাজমুল হাসান এ সাফল্যের জন্য তার দলের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং বিচারকমণ্ডলীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।.বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ স্কাউটস কাব ক্যাম্পুরী উপজেলা শাখার আয়োজনে ৫দিনব্যাপী ৫ম বেলকুচি উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী-২০২৩ এর সমাপনী দিনে বেলকুচি সরকারি কলেজ মাঠে এই মহা তাবু জলসা অনুষ্ঠিত হয়।.বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কা...
ইহুদী যায়নবাদী চেতনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত
প্রবন্ধ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি

ইহুদী যায়নবাদী চেতনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি ||যায়নবাদ ইহুদী রাজনৈতিক চেতনার নাম। ইংরেজীতে বলা হয়- Zionism, হিব্রু ও আরবীতে বলা হয় ‌ছহিইয়ুনিয়্যাহ। আল-কুদস শহরে অবস্থিত ছহিইয়ুন পাহাড় এর সাথে সম্পর্কিত করে ইহুদীদের রাজনৈতিক সংগঠন তৈরী করা হয়েছে- ছহিইয়ুনিয়্যাহ। তাদের দাবী অনুযায়ী দাউদ (আ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ছহিইয়ুনকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল (খ্রি.পূর্ব ৯৬০-১০০০)। দার্শনিক বারনাবাম ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে হারকাতু আহিব্বা ছহিইয়ুন (ছহিইয়ুনকে যারা ভালোবাসেন তাদের আন্দোলন) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে যায়নবাদীদের (ছহায়েনাহ) প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।বহুদিন ধরেই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ইহুদী জাতি গোষ্ঠী নির্যাতিত হচ্ছিল, তাদেরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছিল। ঐসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল- ইহুদী বিশ্বাসঘাতক জাতি। যার খায় পরে তাকেই গলাটিপে হত্যা করে। দেশ ও জাতির ক্ষত...
সিরাজগঞ্জে মানব সেবায় স্বপ্ন গ্রুপের পিঠা উৎসব : ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি
সংবাদ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি

সিরাজগঞ্জে মানব সেবায় স্বপ্ন গ্রুপের পিঠা উৎসব : ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি

শীতের হাতছানি দিতেই নবান্ন উৎসবের ধুম পড়ে গ্রাম বাংলায়। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে তৈরি হয় নানা ধরনের শীতের পিঠা। তবে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা সেই পিঠার স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকেন ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষ।সিরাজগঞ্জ শহরের সেসব মানুষকে শীতের পিঠার স্বাদ দিতে এবং শীতকে স্বাগত জানাতে রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানব সেবায় স্বপ্ন গ্রুপ’।শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় এ আয়োজনে শতাধিক ছিন্নমূল মানুষকে গরম গরম চিতই, ভাপা ও তেলের পিঠাসহ নানা রকম পিঠা খাওয়ানো হয়। এতে তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠে।মানব সেবায় স্বপ্ন গ্রুপের উদ্যোক্তা ও পুলিশ সদস্য শামীম রেজা বলেন, শহরের ছিন্নমূল, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা খাওয়ার সাধ্য নাই। তাই এসব মানুষকে শীতের পিঠা খাওয়ানোর মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে ও শীতকে স্বাগত জানাতে এই পিঠা উৎসবের আয়...
“ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতায় জেগে উঠুক মুসলিম উম্মাহ”
প্রবন্ধ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি

“ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতায় জেগে উঠুক মুসলিম উম্মাহ”

|| মো: ওমর ফারুক ||মুসলিম জাতির প্রথম কিবলা বলা হয় মসজিদুল আকসা তথা বায়তুল মুকাদ্দাসকে। যে স্থানটি সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যিয়ারত করা শরীয়ত স্বীকৃত। মসজিদটি ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূখণ্ড জেরুজালেম শহরে অবস্থিত।মসজিদুল আকসার সাথে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের স্মৃতি। সংশ্লিষ্টতা রয়েছে রাসুলে করিমের পবিত্র মিরাজ শরীফের অলৌকিকা ঘটনার। মহান আল্লাহ তাআলা যার চতুর্পাশকে করেছেন বরকতময়। যার কারণে পবিত্র মক্কা-মদীনার ন্যায় এই পূণ্যভূমিটি প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে গভীর প্রেম, ভক্তি ও ভালোবাসার স্থান দখল করে রয়েছে। অথচ, এই পবিত্র ভূমিটি আজ ইহুদীদের দখলে।১৯৪৮ সালে ইহুদীবাদী অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের পর বায়তুল মুকাদ্দাসের আশপাশসহ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর চলে জুলুম-নির্যাতনের স্টীম রোলার। ধারাবাহিক অত্যাচারের পাশাপাশি ১৯৬৭ সালে ইহুদীবাদী শক্তি মসজিদটি দখল করে নেয়। নিজ ভূখণ্ডে টিকে থাকতে ও বায়তুল মুকাদ্দাস ...
গাযযাহ হিয়াল ইজ্জাহ (গাজাই প্রকৃত সম্মান)
প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী), সভ্যতা ও সংস্কৃতি

গাযযাহ হিয়াল ইজ্জাহ (গাজাই প্রকৃত সম্মান)

|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি ||শত শত নবী রাসূলের পদভারে ধন্য যে ভূমি তার নাম ফিলিস্তিন। রাসূল সা. এর মিরাজের স্মৃতিবিজড়িত মাসজিদুল আকসা মুসলমানদের প্রথম কিবলা, যেখানে একটি সালাত আদায় করলে দুই শত পঞ্চাশ সালাতের সওয়াব পাওয়া যায়। পৃথিবীতে তিনটি মাসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করাকে বৈধ বলেছেন রাসূল সা.- মাসজিদুল আকসা তার একটি।ওমার ইবনুল খাত্তাব রা. এর শাসনামলে এ অঞ্চল মুসলিম শাসনাধীনে আসে। কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের আবারো নজর পড়ে ফিলিস্তিনের দিকে। আমরা জানি গাজী সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী (রহ.) বহু যুদ্ধে এসব ক্রুসেডারদের পরাস্ত করেন এবং প্রতিবারই তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন।সর্বশেষ উসমানীয় খেলাফতের চারশত বছর নিরঙ্কুশভাবে ফিলিস্তিন ছিল মুসলিম শাসনাধীন অঞ্চল।আমাদের ভাষায় যাকে গাজা বলে জানি, তা আরবদের কাছে পরিচিত গাযযাহ হিসেবে। আর এই অঞ্চলটিই ফিলিস্তিনবাসীর ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করে ...