বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫

Blog

ভালো সত্তাটাকে জাগিয়ে তুলি
ধর্ম ও দর্শন

ভালো সত্তাটাকে জাগিয়ে তুলি

পৃথিবীতে আমরা নানা রকমের মানুষ দেখি। কেউ সাদা কেউ কালো আবার কেউবা লাল। এতো গেল রংয়ের কথা, চরিত্রের দিক থেকে কেউ সচ্চরিত্রবান আবার কেউ দুচ্চরিত্রবান। নীতির দিক থেকে কেউ সুনীতিপরায়ণ কেউবা দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর। সততার দিক থেকে কেউ সৎ কেউ অসৎ। মানসিকতার দিক থেকে কেউ উদার বড় মনের অধিকারী সাধক মানুষ কেউ আবার সংকির্ণতায় পরিপূর্ণ ছোটলোক। পেশার দিক থেকে কেউ শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, সৎ চিকিৎসক, ইঞ্জিনায়ার, সৎ ব্যবসায়ী ভালো লোক আবার কেউ চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, চাদাবাজ, অসাধু ব্যবসায়ী, সুদখোর খারাপ লোক। আরো কত নানা বৈচিত্রের মানুষ। তবে সব রকমের মানুষের মাঝেই একটি ভাল সত্ত্বা লুক্কায়িত রয়েছে। এই সত্ত্বাটিকে আমরা নিজেরা চিনিনা, আর অন্যের মাঝ থেকে খুজে বের করতেও জানিনা। যদি প্রতিটি মানুষের ভেতর থেকে সেই ভালো সত্তাটিকে নাড়া দেয়া যেত, বের করা যেত সেই ভালো মানুষটিকে, তাহলে এ নশ্বর পৃথিবী থেকে সমস্ত খারাপি দূর হয়ে...
কে আমি?
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

কে আমি?

বর্তমান বিশ্বে এখন প্রযুক্তি বিপ্লব চলছে। এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন এতটাই হয়েছে যে, মানুষ মুহূর্তেই সৃষ্টিজগতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সব কিছুর খবরাখবর নিতে পারে। ইচ্ছে হল, সৌরজগত সম্পর্কে কিছু জানতে; ইন্টারনেটে প্রবেশ করলেই আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তা পেয়ে যাবেন। কথা বলতে বা যোগাযোগ করতে চাইলে পৃথিবীর অপর প্রান্তে থাকা আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তির সাথে মুহূর্তেই যোগাযোগ করতে পারেন। কথা বলার সাথে সাথে তাকে দেখতেও পারেন। আবার আপনার একগাদা প্রয়োজনীয় তথ্যাদি মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে মুঠোবন্ধিও করতে পারেন। এক কথায়, প্রযুক্তি মানুষের জীবন-যাপনকে অনেক সুন্দর ও সহজ করতে সহায়তা করছে।এখন কথা হলো, আমরা কি কখনো চিন্তা করি যে, এসব কিছুর মূলে কে রয়েছেন? কে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন? আমরা কি কখনো তাঁর সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করি? আসলে সৃষ্টির সাথে সৃষ্টির যোগাযোগ দিন দিন...
আধ্যাত্মিক ভুবনে স্বপ্নচারী সৈয়দ আহমদুল হক
জীবনী, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

আধ্যাত্মিক ভুবনে স্বপ্নচারী সৈয়দ আহমদুল হক

|| মো. ওমর ফারুক ||মহান স্রষ্টার বিশ্বলোক সৃষ্টির উদ্দেশ্য মানুষকে ঘিরে। মানুষের প্রয়োজনার্থে সৃষ্টি করা হয়েছে ভুবনের সমস্ত কিছু। সর্বোত্তম সৃষ্টি হিসেবে মানুষকে জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন করে তৈরি করা হয়েছে। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে বিশ্বলোকের অন্যান্য সৃষ্টির সাথে পরিচিত হয়, গড়ে তোলে নিবীড় সম্পর্ক, পরিচালিত করে নিজেকে, দেশ, সমাজ ও জাতিকে। সৃষ্টিকুলের সাথে নিবীড় সম্পর্কে জড়িয়ে অনেকে তার স্রষ্টাকেই ভুলে যায়। ভুলে যায় তার অস্তিত্বের কথা, গোড়ার কথা। হারিয়ে ফেলে খোদার দেয়া সরল-সঠিক পথ। দুনিয়ার মোহে পাপ-পঙ্কিলতার সাগরে হাবুডুবু খায়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে নবী-রাসুল, ওলি-আওলিয়া ও সুফি-দরবেশ পাঠিয়েছেন এ সকল পথহারা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দেয়ার জন্য, পাপ-পঙ্কিলতা বিদূরিত করতঃ অন্তঃকরন পরিশুদ্ধ ও পবিত্র করা জন্য। মহান রবের এ সকল পূণ্যবান বান্দা দিশেহারা জাতির মাঝে খোদায়ী দ্য...
আলোকিত মানুষ গড়তে প্রয়োজন ‘সুশিক্ষা’
প্রবন্ধ, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী)

আলোকিত মানুষ গড়তে প্রয়োজন ‘সুশিক্ষা’

-মো. ওমর ফারুক |মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘(হে রাসুল!) পড়ুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা আলাক্ব, আয়াত: ১)। শিক্ষা হলো একটি উৎকৃষ্টমানের জাতি গঠনের মৌলিক উপাদান। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে: " Educatoin is the backbone of a nation ” অর্থাৎ শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ড যেমন কোন প্রাণীকে শক্তভাবে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে, তেমনি শিক্ষার আলো একটি জাতিকে অন্ধকারে পথ দেখিয়ে যুগ যুগ ধরে টিকিয়ে রাখে। একটি শিক্ষিত জাতিই পারে পৃথিবীর বুকে জায়গা করে নিতে এবং পারে একটি নতুন সভ্যতার জন্ম দিতে। তাইতো ভুবন-বিজয়ী বীর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেন, “Give me an educated mother, I shall promise you the birth of a civilized, educated nation.”অর্থাৎ আমাকে তোমরা শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেব।শিক্ষা সবার জন্যই অপরিহার্য। উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তবে কথা হলো,...
আযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য : একটি পর্যালোচনা
ধর্ম ও দর্শন

আযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য : একটি পর্যালোচনা

ভূমিকা :পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত ইসলাম। ইসলামের একটি অত্যাবশ্যকীয় পালনীয় ইবাদত সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ‘আযান’। সাধারণভাবে সালাতে বা নামাযের জন্য আহ্বান করার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিকে আযান বলা হয়ে থাকে। মুসলিম সমাজে আযান কেবল নামাযের দিকে আহ্বানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সমাজ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়। বিশেষতঃ কোনো মুসলিম পরিবারে সন্তান জন্মলাভ করলে নবজাতকের কানে আযান দেয়া, কোনো শুভ কাজের সূচনালগ্নে এবং বালা-মসিবত বা কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপদাপদের সময় তা থেকে পরিত্রাণলাভে আযান দেয়ার প্রচলন রয়েছে।ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য আযানের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একত্মবাদ, বড়ত্ব ও সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। প্রত্যহ পাঁচবার আযানের সুমধুর ধ্বনিতে মুখরিত হয় আকাশ-বাতাস, মুমিনের হৃদয়ে ঈমা...