শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটিয়ে তাদের আগামীদিনের জন্য যোগ্য করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ শীর্ষক সামিট ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) ইউআইইউ ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪ জেলা থেকে বাচাই পর্বে উত্তীর্ণ প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করে। এদিন চূড়ান্ত পর্বে বিভিন্ন বিভাগের সেরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। জিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ও গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যান্ড লিডারশিপ সেন্টারের উদ্যোগে এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (ইউআইইউ) সহযোগীতায় উক্ত সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
সামিটের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৪.৫ কোটিরও বেশি তরুণ রয়েছে। তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। তরুণদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও স্থায়িত্ব ও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করা উচিত এবং তরুণরা আগামীর নেতৃত্বকে বিকশিত করবে।
এই ‘ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অন এডুকেশন’ সামিট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। এখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে এবং তা কাজে লাগিয়ে তারা সামনের দিনে এগিয়ে যেতে পারবে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।
উক্ত সামিটের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি মিশন চিফ (ভারপ্রাপ্ত) স্টিফেন ইবিলি এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ’র স্কুল অব সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিন প্রফেসর ড. হাসান সারোয়ার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি মিশন চিফ (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, সকল শিক্ষার্থীরই ভালো করার সম্ভবনা রয়েছে। সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তার দেশ শিক্ষার্থীদের সকল সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও সে সুযোগ নিতে পারবে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা বিভাগভিত্তিক প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশগ্রহণ করে। এরপর নানা আয়োজনের মাধ্যমে পর্বগুলো মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বাস ছিল তাদের সাথে আসা অভিভাবক ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।