|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি ||
আরব লীগ এবং ওআইসি ভুক্ত ৫৭টি মুসলিম দেশ বসেছিল রিয়াদে সন্ত্রাসী ও জবরদখলকারী রাষ্ট্র ইসরাইল এর গায্যার শিশু, নারী বৃদ্ধ সাধারণ জনগণের উপর নির্মমতা নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করণীয় নির্ধারণে। কিন্তু গাদ্দার আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সৌদির ভেটোতে ইসরাইল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে তেল গ্যাসসহ অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের কাতার, সিরিয়া ও ইরান উত্থাপিত প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। মুসলিম বিশ্বের শাসকবর্গ অনেক কষ্টে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে অতিসত্বর যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহবান জানাতে পেরেছে।
আসলে মুসলিম বিশ্ব কী স্বাধীন? এই অপারগতার জবাবটা কী? ৭৫ বছরের প্রতিদিনের অত্যাচার নির্যাতনের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছে গায্যাহর স্বাধীনতাকামী বীরদের সংগঠন হামাস। সারা মুসলিম দুনিয়ায় তাই জেগে আছে এক টুকরো গায্যাহ। স্যালুট তোমাকে।
ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ১৯৯৩ সালে বলেছিলেন: আমি আশা করি, আমি একদিন জেগে উঠব এবং দেখব যে সাগর গাজাকে গ্রাস করেছে। রাবিন মারা গেছে এবং গায্যাহ রয়ে গেছে। ইসরাইলী আরেক প্রধানমন্ত্রী শ্যারন বলেছিল: আমি আশা করি যে গায্যাহ সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাবে। শ্যারনও মারা গেছে, গায্যাহ বেচে আছে। শ্যারন নিজেই ২০০৫ সালে একতরফা চুক্তির মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বসতি স্থাপনকারীদেরকে এবং সেদিনও গায্যাহ জয়ী হয়েছিল। ইতিহাস বলে গায্যাহবাসী মরে নাই।
৭ অক্টোবর ২০২৩ নেতানিয়াহু ও তার গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির মুখে চড় মেরেছে হামাস। তিনি একটি টুইটে ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা পরিষেবাগুলিকে দায়ী করেছিলেন, যা তিনি মুছে দিয়েছেন পরে। গাজার কণ্ঠস্বর উত্থিত হতে থাকবে নীরবে আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা মরে যাবে এবং গায্যাহ বেচে থাকবে কেয়ামত অবধি। গায্যাহ হিয়াল ইজ্জাহ।
লেখক: প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), কুষ্টিয়া।