বুধবার, জানুয়ারি ১৫

কোনো কারণ ছাড়াই ইসরায়েলে হামাসের হামলা হয়নি : জাতিসংঘ মহাসচিব

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ইসরায়েলে হামাসের হামলা বিনা কারণে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে গাজাবাসীকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার জন্যই এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, এটি স্বীকার করা বাঞ্ছনীয় যে, ইসরায়েলে হামাসের হামলা এমনিতেই হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের মধ্যে রয়েছে।

তারা (হামাস) দেখেছে তাদের ভূখণ্ড স্থিরভাবে গ্রাস করা হয়েছে, তারা সহিংসতায় জর্জরিত হয়েছে, অর্থনীতির গলা টিপে রাখা হয়েছে, তাদের বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের যে আশা ছিল, সেটি হারিয়ে যাচ্ছে।

তবে তিনি সঙ্গে এটিও বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা দিয়ে হামাসের হামলাকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। সঙ্গে হামাসের হামলার জন্য ফিলিস্তিনিদের সমষ্টিগত শাস্তির বিষয়টিকেও বৈধতা দেওয়া যাবে না।

গুতেরেস আরও বলেন, এ ধরনের কঠিন মুহূর্তে, নীতির উপর ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। যেটি শুরু বেসামরিকদের সম্মান ও রক্ষার নীতির মাধ্যমে। এছাড়া গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, যে পরিমাণ ত্রাণ এখন গাজায় ঢুকছে, সেগুলো বিশাল সমুদ্রের পানির একটি ছোট ফোটার সমান।

এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে এমন বক্তব্য দেওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলার্ড ইর্ডান বলেছেন, গুতেরেসের এ বক্তব্য ‘জঘন্য’ এবং ‘ভয়ানক’ এবং এটির সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

মহাসচিব গুতেরেসের সমালোচনা করে ইসরায়েলি দূত আরও বলেছেন, তার এ মন্তব্য সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার সামিল। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, তিনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, যা ইহুদিদের উপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের (হোলোকাস্টের) পর সৃষ্টি হয়েছিল।

পাশাপাশি, গুতেরেসের পদত্যাগ দাবি করেছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলার্ড এরডান। এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি বলেন, যারা ইসরায়েলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়ংকর কর্মকাণ্ডের পেছনে যুক্তি দেখাতে চান, তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অনতিবিলম্বে তার (গুতেরেস) পদত্যাগ দাবি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *