টাইগারদের জিততে হলে পাড়ি দিতে হত রানের মহাসমুদ্র। সেই আশায় ব্যাট করতে নেমে তীরেই তরী ডুবে যায় তাদের। তবে অপেক্ষা বাড়ালেন কেবল মাহমুদউল্লাহ। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে টিম বাংলাদেশ।
১৪০ বলে ১৭৪ রান করে ম্যাচের নায়ক কুইন্টন ডি কক। ব্যাট হাতে পার্শ নায়কের ভূমিকায় ছিলেন হেনরিক ক্লাসেন (৪৯ বলে ৯০), এইডেন মার্করাম (৬৯ বলে ৬০) ও ডেভিড মিলার (১৫ বলে ৩৪)।
তাদের তাণ্ডবে বাংলাদেশের হারের গল্প লেখা হয়েছিল মূলত প্রথম ইনিংসেই। অপেক্ষা ছিল হারের ব্যবধান বাংলাদেশ কত কমাতে পারে সেটা দেখার। সেই কাজটা ভালোমতই করলেন মাহমুদউল্লাহ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার ব্যস্ততার মাঝে এই মিডল অর্ডার করেছেন ১১১ বলে ১১১ রান। আসরে সুযোগ পাওয়া তিন ম্যাচেই রান পেলেন তিনি।
দারুণ সব শটে এই অভিজ্ঞ ব্যাটার দেখিয়েছেন এমন উইকেটে কিভাবে টিকে থেকে অবলীলায় রান তোলা যায়।
রাবাদার বল শর্ট বলে ফাইন লেগে খেলে সিঙ্গেলে মাহমুদউল্লাহ স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। উদ্যাপনে লাফ দিয়েছেন, এরপর আঙুল দিয়ে ইশারা করেছেন ওপরের দিকে। এরপর দিয়েছেন সিজদা। সেঞ্চুরি উদযাপনেও মনে হলো নির্বাচকদের একটা বার্তা দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
বিশ্বকাপের এ আসরটিতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তিনি। ২০১৫ সালে টানা দুই ম্যাচে ১০০ পেরিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় শতক।
অথচ বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের দলেও ছিলেন না তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দলে ফেরানো হয়। এরপর বিশ্বকাপ দলেও জায়গা পান।
আসরে ৫ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি চতুর্থ জয়। সমান সংখ্যক ম্যাচে সবকটিতে হেরেছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৮২/৫(ডি কক ১৭৪, হেন্ডরিকস ১২, ডুসেন ১, মার্করাম ৬০, ক্লাসেন ৯০, মিলার ৩৪, জানসেন ১; অতিরিক্ত ১০; মুস্তাফিজ ৯-০-৭৬-০, মিরাজ ৯-০-৪৪-১, শরিফুল ৯-০-৭৬-১, সাকিব ৯-০-৬৯-১, হাসান ৬-০-৬৭-২, নাসুম ৫-০-২৭-০, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-২০-০)।
বাংলাদেশ: ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ (তানজিদ ১২, লিটন ২২,নাজমুল ০, সাকিব ১, মুশফিকুর ৮, মাহমুদউল্লাহ ১১১, মিরাজ ১১, নাসুম ১৯, হাসান ১৫, মোস্তাফিজুর ১১, শরীফুল ৬*; অতিরিক্ত ১৭; জানসেন ৮-০-৩৯-২, উইলিয়ামস ৮.৪-১-৫৬-২, কোয়েৎজি ১০-০-৬২-৩, রাবাদা ১০-১-৪২-২, মহারাজ ১০-০-৩২-১)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি