
|| অপু দাস | জেলা প্রতিনিধি (রাজশাহী) ||
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন শুরু হয়েছে। শোকের প্রথম দিনে রাজশাহী নগরীসহ জেলার সর্বত্র ছিল শোকাবহ ও নিস্তব্ধ পরিবেশ।
রাষ্ট্রীয় শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক পালন করা হয়।
নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, শালবাগান, কোর্ট এলাকা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মাইকের মাধ্যমে নিয়মিত শোকবার্তা প্রচার করা হয়। এসব ঘোষণায় দেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় অবদানের কথা তুলে ধরা হয়।
শোক পালন উপলক্ষে রাজশাহীর সরকারি ও বেসরকারি বহু দপ্তর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। ফলে শহরের রাস্তাঘাটে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল তুলনামূলকভাবে কম। স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা অনেকটাই স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এদিকে আজ (৩১ ডিসেম্বর) বাদ যোহর রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরহুমার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকেও শোকসভা ও দোয়া মাহিলের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকার ঘোষিত রাষ্ট্রীয় এই শোক পালন কার্যক্রম ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ সময় সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শোক পালন অব্যাহত থাকবে।
