বুধবার, ডিসেম্বর ৩

ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মজলিসে শূরার ৩য় অধিবেশন অনুষ্ঠিত

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মজলিসে শূরার অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্যে আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া বলেছেন, দেশে জাতীয় নির্বাচনের আবহ চলছে। চলছে আসন ভাগাভাগির মহোৎসব। চলছে ভাগ-বাটোরা ও ক্ষমতার প্রদর্শনী। চলছে জোট-ভোটের মহা হিসাব-নিকাশ। আরো চলছে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ার হাজারো অঙ্গীকার। কিন্তু এসবে কি হবে কাঙ্খিত ঐক্যের ফায়দা। আমাদের বিশ্বাস; প্রচলিত গতানুগতিক ঐক্য ও জোট-ভোটের মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা কখনোই সম্ভব নয়। ইসলামকে দেশ-জাতির কল্যাণে, রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে বিজয়ী করার জন্য প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী গণবিপ্লব। সেই বিপ্লবকে সাধন করার জন্য প্রয়োজন ইসলাম ভিত্তিক, ইসলামের জন্যই ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিকদর্শন হতে হবে ইসলাম। শপথ হবে- ইসলামী বিপ্লব সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

গত ২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সকাল ৯ টায় দলের রাজধানীর পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে মজলিসে শূরার ৩য় অধিবেশনে (২০২৫-২০২৭ সেশন) সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আমীর এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া আরো বলেন, একটা এমপি হওয়াই ঐক্য হওয়ার মাপকাঠি হতে পারে না। ঐক্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। এদিকে ২৪ এর গণঅভ্যূত্থান জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। আর জুলাই সনদের নামে যে মুলা ঝুলিয়ে দেওয়া হল তা সত্যিকারেই শুভঙ্করের ফাঁকি। জুলাই সনদে ইসলাম ও মুসলমানদের কিছু আছে বলে মনে করি না। অথচ দেখছি অনেক সংগঠন জুলাই সনদের জন্য পাগল দেওয়ানা। জুলাই সনদে দেশ-জাতির মুক্তি মিলবে না। মুক্তি মিলতে পারে একমাত্র ইসলামী সংবিধানের অধীনেই। দরকার ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এর মতো একটি পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব ও ইসলামী বিপ্লবী সরকার। তাই ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিপ্লবের যে আহ্বান, তা আরো গুরুত্বের সঙ্গে ধারণ করার জন্য; দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান।

তিনি আরো বলেন, দেশে সাম্প্রতি কয়েজন বাউল আল্লাহ, নবী-রাসুল ও ইসলামী শরীয়ার ব্যাপারে যে আপত্তিজনক ও বেয়াদবীসুলভ কথাবার্তা উপস্থাপন করেছে, তার মাধ্যমে তারা ইসলামের গণ্ডির বাইরে চলে গেছে। মজলিসে শূরার পক্ষ থেকে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

শূরার অধিবেশনে দারসুল কুরআন পেশ করেন আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন। বক্তব্য রাখেন, সেক্রেটারী জেনারেল জনাব মোস্তফা তারেকুল হাসান, জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ নাছির, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শহীদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা শাখার আমীর জনাব আব্দুল বারী মিয়া, ঢাকা দক্ষিণের আমীর মোস্তফা বশীরুল হাসান, ঢাকা উত্তরের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ভূঁঞাসহ জেলা শাখাসমূহ থেকে আগত সম্মানিত শূরা সদস্যগণ।

উল্লেখ্য যে, উক্ত অধিবেশনে মজলিসে শূরার সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে মুহতারাম ভারপ্রাপ্ত আমীরকে আমীরের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *