
|| প্রফেসর ড. আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী ||
বাউলদের মূল আড্ডাখানা কুষ্টিয়া শহরের সেউরিয়াতে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের জন্য বেশ কয়েক তলা বিশিষ্ট আস্তানাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর শীতের শুরুতে সারা দেশের বাউলরা এখানে এসে কয়েকদিন ব্যাপী বলতে গেলে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় নাচ গান ডলাডলি মাখামাখি প্রকাশ্যেই চলে এসব। এবার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশ্যে গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ দ্রব্যেরও ব্যবহার চলে অবাধে।
তারা যদি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো তাও হতো তারা মুসলমানদের ঈমান আকিদা তাদের ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে প্রকাশ চ্যালেঞ্জগুলো বক্তব্যও দিয়ে থাকে।
কোনো দেশ সরকারি নিজস্ব অর্থে পরিচালিত হয় না। হয় সে দেশের জনগোষ্ঠীর টাকায়।
এদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ৯০% মুসলিমদের দেশ। দেশে ৯০% ভাগ মুসলিমদের হালাল অর্থ কর হিসেবে গ্রহণ করে দেশের এসব নিষিদ্ধ কাজে কি করে ব্যয় করে? মুসলিমদের ঈমান আকিদা ধর্মীয় বিষয়ে আঘাত হানে যারা, তাদেরই বা পৃষ্ঠপোষকতা করে কিভাবে?
দেশ যেহেতু এদেশের মুসলিমদের করের টাকায় পরিচালিত। তাই মুসলিমদের স্বার্থরক্ষা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তাদের ঈমান আকিদা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করবে এমন ধর্ম বিদ্বেষী জাতি গোষ্ঠীকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান কতটুকু যৌক্তিক?
শুধু আবুল বাউল নয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ধর্মের বিপক্ষে ধৃষ্টতা দেখায় সেটা যে কোন ধর্মের হোক না কেন তাদের প্রতিহত ও দমন করা এই সরকারের দায়িত্বে পড়ে কিনা সেটা তারাই ভালো জানেন।
শুধু আবুল নয় বাউলদের সমূলে উৎপাটিত করাসহ যেকোনো ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত করবে এমন সকল দল গোষ্টিকে সরকার যে কোন মূল্যে প্রতিহত করে সকল ধর্মের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে এটাই দেশ জাতির প্রত্যাশা।
লেখক: সিনিয়র অধ্যাপক, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও সাবেক ডিন, থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
