বুধবার, ডিসেম্বর ৩

কুড়িগ্রাম সীমান্তে চার বাংলাদেশি যুবতীকে বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

|| কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ||

২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট চার যুবতীকে ভারতীয় বিএসএফ হস্তান্তর করে।

ঢাকার বাড্ডা থানার নূতন বাজার এলাকায় একই বাসায় ভাড়া থেকে জীবিকার তাগিদে তিনজন বিউটি পার্লারে এবং একজন গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন চার যুবতী। উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারী ভারতের পথে নিয়ে যায়—এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে।

আখী আক্তার জানান, কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর তারা জান্নাতের প্রলোভনে সিলেটের জাফলং সীমান্ত অতিক্রম করেন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য আগে থেকেই একটি প্রাইভেটকার অপেক্ষায় ছিল। সেই গাড়িতে করে তারা ভারতের অসম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি পৌঁছালে ২৩ নভেম্বর সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে।

তার ভাষায়, “উন্নত জীবন আর ভালো কাজের আশায় আমরা ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। পরে বুঝেছি, আমরা ভুল করেছি।”

পরবর্তীতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিএসএফকে অবহিত করলে ২৬ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার পূর্ব কেদার সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর সাবপিলার ১৪-এস পয়েন্টে উভয় বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কেদার কোম্পানি সদরের হাবিলদার শাহজাহান আলী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন রুস্তম ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেওয়া হয় এবং পরে সেদিন সন্ধ্যায় তাদের কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “যুবতীদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

এ ঘটনায় মানবপাচারচক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *