
|| মোঃ আজিজুল হক | ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদকে নিয়ে প্রচারিত ‘অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর’ সংবাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে থানা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে থানার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ওসি আল হেলাল মাহমুদ সংশ্লিষ্ট অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন, ভূরুঙ্গামারীর একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনার এজাহারনামীয় আসামি আনোয়ার হোসেন আরিফ (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে কখনো রাজনৈতিক পরিচয়, আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয়ের আড়ালে চাঁদাবাজি, সরকারি কাজে বাধা, মাদক ব্যবসা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রজনতার ওপর হামলা এবং সাম্প্রতিক নাশকতার পরিকল্পনার মামলাও অন্তর্ভুক্ত।
তিনি আরও বলেন, “আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তার সহযোগী একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার এবং থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রচারিত এসব সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই; এসবের উদ্দেশ্য শুধু পুলিশকে বিতর্কিত করে তোলা এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা।”
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, কারাগারে থাকা আনোয়ারের পৃষ্ঠপোষকেরা কয়েকজন বিতর্কিত সাংবাদিককে ব্যবহার করে পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগেও গছিডাঙ্গা কুড়ারপাড় এলাকার স্থানীয়রা আনোয়ারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, কথিত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফ এক প্রতিবন্ধী তরুণকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করলে ওই তরুণের পিতার দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আনোয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত—মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তার নাম সূত্রে পাওয়া গেছে।
থানা পুলিশের মতে, ভবিষ্যতে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হলে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণকে সঠিক তথ্য জানানো এবং ভ্রান্ত প্রচারণা প্রতিহত করতেই থানার পক্ষ থেকে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
