
|| মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু | জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) ||
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি’র এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক মহলে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, একটি সরকারি সভায় ইউএনও “ মন্তব্য করে বলেন, আমি মিডিয়া ডাকি না, মিডিয়া ডাকলে শুধু টাকা চায়, তাই আমি মিডিয়া কাভারেজ নিই না” কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি’ কোন মিডিয়াকে কত টাকা দিয়েছেন। তার এমন বক্তব্য দিয়ে পুরো সাংবাদিক সম্প্রদায়কে অবমাননা করেছেন।

ঘটনাটি ঘটে, গত ১২ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কাব স্কাউট বিষয়ক এক সভায়। সেখানে উপস্থিত একাধিক অংশগ্রহণকারীর দাবি, আলোচনার এক পর্যায়ে ইউএনও এই মন্তব্য করেন। পরে সভার ওই অংশের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার সর্বস্তরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে বদলগাছীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গত ১৬ নভেম্বর (রবিবার) ইউএনওর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি আপত্তি পত্র দাখিল করেন।
ইউএনও ইসরাত জাহান ছনি ছুটিতে থাকায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ উদ্দিন। তিনি বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করার নিশ্চয়তা দেন।
আপত্তি পত্রে বলা হয়, বদলগাছী উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইউএনও’র কর্মকালে বিভিন্ন জাতীয়-আঞ্চলিক গণমাধ্যমে শতাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অথচ এসব সংবাদ কাভারেজের জন্য কোনো সাংবাদিক কখনো তাঁর কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা দাবি করেননি। তারপরও তিনি সংবাদকর্মীদের সম্পর্কে ‘অযৌক্তিক, মিথ্যা ও মর্যাদাহানিকর’ মন্তব্য করেছেন।
বদলগাছী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক সরেজমিনে বার্তার বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক ফেরদৌস হোসেন বলেন, “ইউএনও’র বক্তব্য শুধু অসত্যই নয়, মর্যাদাহানিকর এবং পুরো সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল। তিনি অবিলম্বে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন, এটাই আমাদের দাবি। অন্যথায়, তিনি যেসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সেসব অনুষ্ঠানের সংবাদ বর্জনসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, একটি দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পদে থাকা ব্যক্তির এমন মন্তব্য গণমাধ্যম ও প্রশাসনের সম্পর্ককে অকারণে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
