বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৩

ভাড়াটিয়ার দখলে খুলনার নিক্সন মার্কেটের দোকান, অসহায় মালিক

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

নগরীর অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র নিক্সন মার্কেটের একটি দোকান ঘর দখল নিয়ে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ভাড়াটিয়া এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে (আগে শেখবাড়ির, এখন মহিলা দল নেত্রীর আশ্রয়ে) দোকান ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এতে অসহায় অবস্থায় পড়েছেন দোকানের প্রকৃত মালিক পরিবারটি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন মার্কেটের ১২৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের দোকান মালিক তৈয়েবুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম অভিযোগ করেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার নয় মাস পার হলেও ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ জানু দোকান ছাড়ছেন না। উল্টো তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

সুরাইয়া বেগম জানান, হাজী মহসিন রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ জানু দীর্ঘদিন ধরে তাদের দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন। প্রথমে দুই দফা চুক্তিতে দোকান ভাড়া দেওয়া হলেও পরবর্তীতে ভাড়া প্রদানে গড়িমসি ও তালবাহানার কারণে নতুন চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।

তবে জানু বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতা নিয়ে পুনরায় দোকান ভাড়া নিতে চাপ দেন। “প্রথমে সাবেক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান স্বপন, পরে শেখবাড়ির মাধ্যমে শেখ সুজনের রেফারেন্সে আমার স্বামী বাধ্য হন তাকে এক বছরের জন্য ভাড়া দিতে,” বলেন সুরাইয়া বেগম।

তার ভাষায়, “চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। দোকান ভাড়া দেওয়া বন্ধ রাখে এবং দখল বজায় রাখে বলপ্রয়োগে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে জানু ২৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের নেত্রী কাকলি খানের ছত্রছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দোকানের কাছে গেলেই তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি একাধিকবার তাদের বাসায় মাস্তান পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সুরাইয়া বেগম আরও জানান, তার স্বামী তৈয়েবুর রহমান গুরুতর অসুস্থ ও হৃদরোগে ভুগছেন। ফলে দোকান দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।

তিনি দোকান পুনরুদ্ধারে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *