
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহানগরীর জিয়াহল চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জিয়াহল চত্বর থেকে শুরু হয়ে কেডিএ এভিনিউ প্রদক্ষিণ করে রয়্যাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণের ঐক্য ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতির নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে ওঠেন। সেই দিনটি ছিল জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়, যেদিন সেনা ও জনগণের সংহতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হয়েছিল।
বক্তারা বলেন, এই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়। তারা জিয়াউর রহমানকে একজন সাহসী ও নিষ্কলুষ সৈনিক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তার হাত ধরেই জাতি উন্নয়ন, অগ্রগতি ও আত্মবিশ্বাসের পথে এগিয়ে গিয়েছিল।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বক্তারা বলেন, “আজও দেশে প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। যদিও চব্বিশের ৫ আগস্টের পর দেশবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে, তবে ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও সুশাসনের অঙ্গীকার এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।”
তারা অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে আইনি প্রতিকার থেকে। বক্তারা আহ্বান জানান, “যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে সেনা ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেই চেতনা ধারণ করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং দুর্নীতি ও দুঃশাসন দূর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলি আসগর লবি।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান পাপুল, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
