মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪

খুলনায় নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর শুরু আগামী সপ্তাহে

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

খুলনা জেলা নতুন কারাগারের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে বন্দি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে ১০০ বন্দিকে নতুন কারাগারে নেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকি বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে বলে খুলনা জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে নতুন কারাগারে বন্দিদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তবে প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে এক-দুই দিন দেরি হতে পারে।

তিনি বলেন, “প্রথম ধাপে আমরা ১০০ বন্দিকে নতুন আধুনিক কারাগারে স্থানান্তর করবো। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বন্দিদের নেওয়া হবে।”

জেলার মুনীর হোসাইন আরও জানান, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরাতন কারাগারের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে নতুন কারাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। অন্যদিকে, খুলনা শহরের ঘাট এলাকায় অবস্থিত বর্তমান জেলা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, খুলনায় দুটি কারাগার চালুর বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এরপর পৃথক নামে দুটি কারাগার আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তখন দুই কারাগারে আলাদা জেল সুপার ও জেলার দায়িত্ব পালন করবেন। আপাতত বর্তমান কর্মকর্তারাই দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।

মুনীর হোসাইন আরও বলেন, “নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলে বন্দি চাপ অনেকটা কমে যাবে। বর্তমানে খুলনা জেলা কারাগারে ১ হাজার ৪০০ এর বেশি বন্দি রয়েছে। নতুন কারাগারে কিছু বন্দি সরিয়ে নিলে পুরোনো কারাগারে স্বস্তি আসবে।”

তিনি জানান, নতুন কারাগারে এখনও মাটি ভরাট ও কিছু ছোটখাটো নির্মাণকাজ বাকি আছে। খুব শিগগিরই কাজগুলো সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ’ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয় ২০১১ সালে। প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। তবে বিভিন্ন কারণে সময়সীমা আট দফায় বাড়ানো হয়েছে। দুই দফা সংশোধনের পর প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮৮ কোটি টাকা।

খুলনা সিটি বাইপাস সড়ক (রূপসা সেতু বাইপাস) সংলগ্ন প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে নতুন জেলা কারাগার। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, নতুন কারাগারে ৪ হাজার বন্দি ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে ২ হাজার বন্দি রাখার মতো অবকাঠামো তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *