
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনার কয়রায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কয়রা ঘুগরাকাটি সিনিয়র ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসার মাঠে ‘গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল’-এর উদ্যোগে দিনব্যাপী এ শিবিরের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমাদের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও আমি এ ধরনের সামাজিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদেরকে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা এ সনদ দ্রুত কার্যকর করা হলে দেশে সুশাসন ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাগালী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ। পরিচালনা করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ, ঘুগরাকাটি সিনিয়র ফাযিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ এবং ঘুগরাকাটি তরুণ সংঘের উপদেষ্টা সালাহউদ্দীন আহমেদ।
চক্ষু শিবিরে গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের ডা. শামীম হোসেন আল মাহমুদ ও আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি চিকিৎসক দল তিন শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২০ জন রোগীকে ছানি ও নালী অপারেশনের জন্য সাতক্ষীরার গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী এমন মানবিক উদ্যোগের জন্য গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল ও আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
