
|| রফিকুল ইসলাম খান | সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ||
‘শিক্ষকতা পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে- সারা বিশ্বের এবং দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জেও বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে র্যালি প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জেলা শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায়, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) ও গণ সাক্ষরতা অফিস সিরাজগঞ্জের সার্বিক সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় সিরাজগঞ্জ জেলা কালেক্টরেট ভবনের সামনে হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহিদ এ.কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাঃ রোজিনা আক্তার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এলিজা সুলতানা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, এনডিপি (এমএন্ডই) উপ-পরিচালক কাজী মাসুদুজ্জামান।
শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, সিরাজগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদুল ইসলাম, বনোয়ারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল-মামুন, সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক, হাজী আহমেদ আলী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ছাতিয়ানতলী মোড়গ্রাম টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শরিফুল ইসলাম, হাজী আহমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিপির প্রতিবন্ধিকতা ও শিক্ষা কর্মসূচির উপব্যবস্থাপক শিপন চন্দ্র নাগ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষক হলো একটি দেশের জ্ঞান , সংস্কৃতি ও উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। শিক্ষক কেবল পাঠ দান করেন না, বরং প্রজন্মকে আলোকিত, দায়িত্বশীল এবং সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার টেকসই অগ্রগতির পূর্বশর্ত।
সভায় শিক্ষকগণ তাদের বিভিন্ন দুঃখ-দুর্দশা ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে উক্ত সমস্যা সমাধানের একটি অনুলিপি পাঠানোর অনুরোধ করেন। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
জানা যায় যে, শিক্ষক ছাড়া জাতির অগ্রগতি অসম্ভব। এ কারণে ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি উদযাপিত হয়। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু হয়। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
