
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ গুরুতর সংকটে নিপতিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৯ ডিসিপ্লিনে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করলেও পর্যাপ্ত জমির অভাবে আবাসন, গবেষণা ও খেলাধুলার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছে না। এ অবস্থায় বৃহত্তর খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে গল্লামারী মৎস্য খামার দ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে হস্তান্তরের দাবি উঠেছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংকটে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আর দেরি নয়, দ্রুততম সময়ে গল্লামারী মৎস্য খামার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ, সহ-সভাপতি সরদার আবু তাহের, কবি সৈয়দ আলী হাকিম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, মো. আতিয়ার রহমান, এস এম মিজানুর রহমান, শাহজাহান জমাদ্দার, ইঞ্জি. নাজমুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওমর ফারুক কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, মো. নাজমুল হক মুকুল, এস এম মনোয়ার হোসেন লাভলু, রুহুল আমিন মিঠু, ইঞ্জি. মো. শফিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এস ওয়াহিদুল রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর কাউসার মিজু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম ফারুক, অর্থ সম্পাদক মো. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষা সম্পাদক মিজানুর রহমান কচি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অ্যাড. জিনারুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক খান ইমরান আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবির আহমেদ, প্রচার সম্পাদক নাজমুল তারেক তুষার, নির্বাহী সদস্য অ্যাড. শামীমা সুলতানা শিলু, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, হাসান মোল্লা, সাঈদা পারভীন, মো. আজিজুল হক, এম এম হাসান, আফরিদুল ইসলাম, মো. ফারুক খান প্রমুখ।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—গল্লামারী মৎস্য খামার দ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে হস্তান্তর না করা হলে খুলনার আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা ও উন্নয়নের স্বার্থে এই দাবি পূরণ না হলে রাজপথ হবে উত্তাল।