
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
দেশজুড়ে দুই দিনের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। দেশটির সচিবালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ সুগম করতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পুডেল ও প্রধানমন্ত্রী ওলির বাড়িতে ঢুকে পড়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে সেখানে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যায়।
পরে বন্ধ করে দেয়া হয় বিমান চলাচলও। এমন পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান স্থানীয় নেতারা এবং দেশটির সেনাপ্রধান।
এদিকে, দেশব্যাপী বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় নেপালি সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভাইসেপতির বাসভবন থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশজুড়ে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি রেখেছে প্রশাসন।
বিক্ষোভ দমাতে সোমবার রাতে পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।মঙ্গলবার সকালে পদ ছাড়েন দেশটির কৃষি মন্ত্রী। তাতেও লাভ হয়নি। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-সমাজের একটাই দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিসহ পুরো মন্ত্রী পরিষদকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি ও এনডিটিভি।