
|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||
আমাদের সমাজে সাধারণত জুমার নামাজে মসজিদে অনেক মুসল্লীর সমাগম হতে দেখা যায়। এটা একটি ভালো দিক। কিন্তু অন্য দিন বা ওয়াক্তে খুবই নগণ্য সংখক মুসল্লীর দেখা মেলে, যা মুসলিম সমাজ হিসেবে খুবই হতাশাজনক। অথচ ইসলামে নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য আয়াতে এবং প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদিস শরীফে নামাযের ফযিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন। সুতরাং কোনো অবস্থায় নামাজ থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। একা নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার গুরুত্ব অনেক বেশি। কুরআনে নামাজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআনের বেশ কয়েকটি আয়াতে নামাজের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেন, আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিশ্চয় তা বিনয়ীরা ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন। (সূরা বাকারা, আয়াত : ৪৫)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার কাজগুলোর মধ্যে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। যদি সঠিকভাবে নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে, তবে সে নাজাত পাবে এবং সফলকাম হবে। যদি নামাজ নষ্ট হয়ে থাকে, তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (নাসায়ি)
আমাদের মুসলমান হিসেবে অবশ্যই নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
লেখক: আলোকিত দৈনিক-এর নিজস্ব প্রতিবেদক (খুলনা)।