শুক্রবার, অক্টোবর ১০

পুলিশ বাহিনীতে কওমি আলিয়ার সনদধারীদের নিয়োগদান সময়ের দাবি

বর্তমান পুলিশ বাহিনীতে যারা আছেন তাদের অধিকাংশই জনগণের বন্ধু নয়; স্বৈর আমলের স্বৈর শাসকের রক্ষাকবচ ছিলেন।

যারা গতদের যুগ থেকে সাধারণ জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করেছে। তারা অবশ্য এখনো স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

এরা কত মানুষকে গুম খুন করেছে কত মানুষকে দুনিয়া থেকে চির বিদায় করেছে কতজনকে পঙ্গু করেছে কত মায়ের বুক খালি করেছে কত সন্তানকে এতিম করেছে এর সঠিক হিসাব বর্তমান সরকারের কাছে নেই।

বর্তমান সরকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ফসলের সরকার। গত দেড় যুগ ধরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য ছিল চরম আকারে।

এদের সরকারি চাকরিতে রিক্রুটমেন্ট করবে তো দূরের কথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম সারির মেধায় চান্সপ্রাপ্তদেরকেও ভালো সাবজেক্টে ভর্তি বিষয়েও বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত শিক্ষক নামের কলঙ্ক স্বৈরশাসকের দোসররা।

ঢাকা জাহাঙ্গীরনগরসহ বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম সারির মেধায় চান্সপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ১০০ নাম্বারের ইংরেজির দোহাই দিয়ে কোন ভালো সাবজেক্টে ভর্তি হতে দেওয়া হতো না।

পরিশেষে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড দাখিল ও আলিম শ্রেণীতে বাংলা এবং ইংরেজি ২০০ নাম্বার করতে বাধ্য হয়।
এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্টে চান্স পেলে ভাইভার নামে তাদেরকে নরমাল সাবজেক্টে ভর্তি হতে বাধ্য করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এরকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে।

এরা মেধাবীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ দানে বাধা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এরা মানবতার চির শত্রু। অতি শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।

এখন ক্ষমতার চাকা বদল হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষিতদের প্রতি যে বৈষম্যের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে তা এখন শুধরিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে।

এটা সত্য যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা না খেয়ে থাকে তবুও কারো মাথায় আঘাত করে না। এরা উপোস থাকে তবুও পরের ধন চুরি করে না। এরাই প্রকৃতদেশপ্রেমিক। আর দেশ প্রেম না থাকলে দেশের সেবা করা যায় না।

এরা মেধাবী না হলেও একেবারে বোকা নয়।
বর্তমানে ঘোষিত বিসিএস ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মাদ্রাসার সনদধারীরা বিসিএস কোন কোন ক্যাডারে প্রথম স্থান সহ প্রথম সারিতে রয়েছে এরা।

আমাদের কাছে একটি বিষয় স্পষ্ট এখন প্রতিভাত হয়েছে যে এ দেশে যত অন্যায় অত্যাচার অবিচার জুলুম নির্যাতন অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। এগুলোর হোতাদের ১% মাদ্রাসা ছাত্র নয়।

পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের একটি নেতিবাচক ধারণা বরাবরই রয়েছে যে, তাদের অধিকাংশই জনগণের সেবা না করে বরং তাদের থেকে ঘুষের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।
অপরাধী ধরার নামে নিরপরাধীদেরকে আটক করে বিরাট অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। অর্থ না দিলে বিচারের নামে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে শারীরিক ও আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।

তাই মাদ্রাসা সনদধারীদেরকে পুলিশবাহিনীতে নিয়োগ দিলে অন্তত তারা জনগণের প্রতিপক্ষ না হয়ে বন্ধু হবে এটা ১০০% না হলেও ৯৯% সত্য কথা।

দেশের মূল শক্তি জনগণ। তাই জনগণের বন্ধু হিসেবে লক্ষাধিক মাদ্রাসা সনদধারীকে পুলিশ বিজিবিতে নিয়োগ দান এখন সময়ের দাবি।

সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ এখনই বড় আকারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শুধু আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার সনদধারীদের নিয়োগ দিবে। যারা জনগণের প্রতিপক্ষ না হয়ে বন্ধু হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলে দেশ জাতির উন্নয়নে কাজ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *