
|| শেখ শাহরিয়ার | খুলনা প্রতিনিধি ||
ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসি প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনার আলোকে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে তিনি ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং এখনো যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন সকলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সভায় আলোচনা শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে (১) মাসব্যাপী মহানগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা, (২) জাতীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে সুবিধাজনক সময়ে র্যালী ও আলোচনা সভা; (৩) তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণে আইডিয়া প্রতিযোগিতাসহ রচনা, কুইজ, আঞ্চলিক খেলাধুলা ও জুলাই ৩৬ সংক্রান্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন (৪) শিশুদের জন্য বিনামূল্যে পার্কসমূহ উম্মুক্ত রাখা, (৫) বসুপাড়া কবরখানায় শহিদ মো: সাকিব রায়হান-এর কবর জিয়ারত ও ২৬নং ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টারের নাম শহিদ মো: সাকিব রায়হানের নামে নামকরণ, (৬) ১৬ জুলাই শহিদ দিবস পালন ও শিববাড়ি চত্বরে শহিদ ফলক স্থাপন, (৭) ১ থেকে ৭ আগস্ট সপ্তাহব্যাপী নগর ভবন, খালিশপুর শাখা অফিস ও জিয়া হল চত্বরে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন এবং ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবার উপর সেবা সপ্তাহ পালন, (৮) প্রত্যেক ওয়ার্ড অফিসে বিষয়ভিত্তিক ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড প্রদর্শন ও রঙিন পতাকা দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও সড়কসমূহ সজ্জিতকরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জাকরণ এবং (৯) শহিদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ি মোড় ও দৌলতপুর শহিদ মিনার চত্বরে সপ্তাহব্যাপী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর ভিডিও ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।
সভাপতির বক্তৃতায় কেসিসি প্রশাসক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এ গণঅভ্যুত্থান আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সারা দেশের ন্যায় খুলনাকেও সমৃদ্ধশালী নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে প্রত্যয়ী হতে হবে তিনি উল্লেখ করেন।
কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর জাহান, বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মো: মনিরুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, ভেটেরিনারী সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশিদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, কালেক্টর অব ট্যাক্সেস মো: আব্দুল মাজেদ মোল্যা, চীফ এ্যাসেসর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন, বাজার সুপার শেখ শফিকুল হাসান, স্টোর সুপার উজ্জ্বল কুমার সাহা, নিরাপত্তা সুপার আলমগীর কবির বিশ্বাস, সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মো: মনিরুজ্জামান রহিম, লাইসেন্স অফিসার খান হাবিবুর রহমান ও মো: দেলওয়ার হোসেন, এ্যাসেসর নাজমুল হক মুকুল, ডিসিটি কাজী মো: ইমরুল হাসান, উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো: সেলিমুল আজাদ প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।