
|| রাসেল আহমদ | ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি ||
নেপালের কাঠমাণ্ডু ও সিন্দুপালচওক জেলার গ্রামীণ এলাকায় আগামী ৪ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক জলবায়ু ক্যাম্প ২০২৫। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষ, সচেতন ও নেতৃত্বদানকারী তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক ক্যাম্প চলবে ৪ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত।
৬০ জন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় তরুণ-তরুণী এই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটান থেকে প্রতিনিধিত্ব থাকবে। বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছেন মাহতাব উদ্দিন মাহিম।

মাহিম উপমহাদেশের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বকশীবাজার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার ফাজিল স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ।
আন্তর্জাতিক ক্যাম্পটি আয়োজন করছে Mission Green Bangladesh এবং Youth for Climate Action Nepal (YCA Nepal)—একটি সুপরিচিত নেপালি যুব সংগঠন, যারা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তরুণদের একত্রিত করে পরিবেশ-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
প্রোগ্রামের মূল দিকনির্দেশনা ও বিষয়বস্তু International Climate Camp 2025-এ অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় বৈশ্বিক জলবায়ু নীতি, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (SDGs), প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, সমাজভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এসব বিষয়ে ওয়ার্কশপ, গ্রুপ ডিসকাশন এবং প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অংশ নেবেন।
ক্যাম্পটি নেপালের পাহাড়ি অঞ্চলে আয়োজন করা হচ্ছে, তবে উদ্বোধনী ও আগমন অনুষ্ঠান হবে কাঠমাণ্ডুতে। মূল কর্মসূচি (কমিউনিটি ভিজিট, বৃক্ষরোপণ, ট্রেকিং, হোমস্টে ইত্যাদি) অনুষ্ঠিত হবে নেপালের সিন্দুপালচওক উপজেলার গ্রামীণ এলাকায়। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় পরিবেশগত বাস্তবতা ঘনিষ্ঠভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পাবেন।
ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থী মাহতাব উদ্দিন মাহিম বলেন,
এই ক্যাম্পটি শুধু একটি শিক্ষা সফর নয় এটি একটি দায়িত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা, যেখানে আমি বাংলাদেশের তরুণদের পক্ষে বৈশ্বিক জলবায়ু আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই।
তিনি জানান, দেশে ফিরে তিনি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিবেশ সচেতনতা ও টেকসই জীবনের বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করতে চান।
মাহতাব উদ্দিন মাহিমের এই অর্জনে তার ঢাকা আলিয়ার সহপাঠীরা গর্বিত। সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে, তিনি ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন।