
|| রাসেল আহমদ | ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি ||
পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সবুজায়নের বার্তা নিয়ে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা প্রাঙ্গণে এক বৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ রবিবার (২৯ জুন) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর ওবায়দুল হকের নির্দেশক্রমে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সক্রিয় বাস্তবায়নে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায়।
এবারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে মাদ্রাসার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অধ্যক্ষ প্রফেসর ওবায়দুল হক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফুল কবির এবং হল প্রভোস্ট এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মাসুম বিল্লাহ। তাঁদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ জুগিয়েছে। এছাড়াও, কর্মসূচিতে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীগণ এবং সাধারণ ছাত্ররা বিপুল সংখ্যায় অংশ নেন, যা পরিবেশ সচেতনতায় তাদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করে।

সকাল ১১টায় কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। অধ্যক্ষ প্রফেসর ওবায়দুল হক তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এর অপরিহার্যতার ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “একটি গাছ কেবল প্রাণ দেয় না, এটি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিশুদ্ধ বাতাস ও ছায়া দেয়। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ আমার নির্দেশনা অনুসারে এই মহৎ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।” তাঁর বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের দায়িত্ববোধ আরও জোরদার করে।
অধ্যক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পুরো কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করে। তারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাদ্রাসার নির্ধারিত স্থানগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, মেহগনি, সেগুন, নিম, অর্জুন সহ ফলজ, বনজ এবং ঔষধি – এই তিন ধরনের প্রায় অর্ধশত চারা রোপণ করা হয়েছে। চারা স্থাপন, গর্ত খনন এবং তাতে পানি দেওয়ার কাজে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
সবুজ ক্যাম্পাসের পথে মাদ্রাসার পদক্ষেপ
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি মাদ্রাসার প্রাঙ্গণকে আরও সজীব ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। এটি শুধু পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোপিত চারাগুলোর সঠিক পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এই ধরনের পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।