
|| জলিলুর রহমান | ঢাবি প্রতিনিধি ||
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শনাক্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে পাল্টা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। যদিও এই কমিটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ৩৪ সদস্যের একটি ছায়া তদন্ত কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত কয়েকশত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। কিন্তু তদন্ত কমিটি মাত্র ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের মতো রাঘব বোয়ালরা বাদ পড়ে। এর মধ্যে আবার ৬ জন রয়েছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের। এমন রিপোর্ট শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনের নামান্তর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত বলেন, আমরা ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এই কমিটির প্রধান কাজ হবে জুলাই আগস্টে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িতদের তথ্য-প্রমান সংগ্রহ করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। আমরা আগামী ১ মাসের মধ্যে এই শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করব।
এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে হামলাকারীদের তালিকা প্রণয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, সময় যত যাচ্ছে তথ্যপ্রমাণ মুছে যাচ্ছে। তাই আমরা একটা শ্বেতপত্র তৈরি করে রেখে দিতে চাই যেন আগামী প্রজন্ম মনে রাখে যে কারা এই হামলার সাথে জড়িত ছিল। আমরা এটা পরে প্রশাসেনের কাছে জমা দিব। প্রশাসন চাইলে আমাদের রিপোর্ট বিবেচনায় নিয়ে তদন্তে নামতে পারে।
শিক্ষার্থীদের তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।
তারা আমাদের কাজে সাহায্য করছে। শিক্ষার্থীরা যদি এ নিয়ে কাজ করে তথ্য-প্রমাণ বের করে তাহলে এটা আমাদের তথ্যানুসন্ধান কমিটির কাজকে আরো সহজ করবে।