
|| আল-আমিন হোসেন | স্টাফ রিপোর্টার ||
বেলকুচিতে ষোলশত জাঙ্গালিয়া স্কুলের শাখা স্কুল হিসেবে পরিচালিত বেলকুচি উচ্চ বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন (নিরব), মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল আজিজ মিলে পরিকল্পিতভাবে পুরাতন বই-সহ ২০২৫ সালের নতুন বই আনুমানিক ২৫ মণ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার নামে মিথ্যা কিছু গুজব ছড়ানোর কারণে আমি বেশ কিছুদিন যাবত স্কুলে যাচ্ছি না। এবং কয়েকদিন আগে সভাপতিকে একটি মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর সুযোগে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন (নিরব), আব্দুল আজিজ ও মোহাম্মদ আলী পরিকল্পিতভাবে সকল বই বিক্রি করে দেয়। এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি না।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন (নিরব) এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তারা কোন সঠিক জবাব না দিয়ে বলে আমরা নিয়ম মেনে অল্প কিছু বই ও খাতা বিক্রি করেছি।
অন্য সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আলী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন (নীরব), এর কথামতো কোন নিয়ম না মেনেই আমরা সকল বই বিক্রি করেছি।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম গোলাম রেজা বলেন, যেহেতু উক্ত বিদ্যালয়ে এখনো পাঠদানের অনুমতি পায়নি সে কারণে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে না। ষোলশত জাঙ্গালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এব্যাপারে কিছু জানি না। এলাকাবাসী মনে করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টা দেখা উচিৎ।