বুধবার, মার্চ ১২

বগুড়ায় যমুনা নদীতে পড়ে শিক্ষার্থী নিখোঁজ

|| মোস্তফা আল মাসুদ | বগুড়া ||

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনার পাড়ে ঘুরতে গিয়ে মোবাইলে সেলফি তোলার সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ চার বন্ধুর মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ রয়েছেন তাদের এক বন্ধু।

গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্পার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম।

নিখোঁজ শিক্ষার্থী জুনায়েদ রহমান (১৮) শেরপুর পৌরসভার টাউন কলোনি এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আরডিএ) উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। উদ্ধার হওয়ারা হলেন- শেরপুর টাউন কলোনি এলাকার আবুল কালামের ছেলে মফিজ ইকবাল (১৮), একই এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে অওফি হাসান (১৮) এবং গোলাম সরোয়ারের ছেলে গোলাম শোয়েব (১৮)।

ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, বিকালে চার বন্ধু বানিয়াজন স্পারের নিচে যমুনা নদীতে নেমে সেলফি তুলছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত তারা নদীতে পড়ে ডুবে যান। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছেন জুনায়েদ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, “নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে রাজশাহীর ডুবুরী দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। ডুবুরিরা আসলে নিখোঁজকে উদ্ধারের কাজ চলবে। তবে তাকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর যমুনায় ডুবে অনেক মানুষ নিখোঁজ ও মারা যান। বগুড়ায় ডুবুরি না থাকায় রাজশাহী এবং রংপুর থেকে ডুবুরি এনে তাদের উদ্ধার করতে হয়। আর এতে প্রায় ১২ ঘণ্টা লেগে যায়। অনেক সময় লাশও পাওয়া যায় না।

ধুনট এবং সারিয়াকান্দী উপজেলার যমুনা নদীর পাশে ফায়ার সার্ভিসের ক্যাম্প করে ডুবুরি রাখা উচিত। তা না হলে সময়ের অভাবে অনেক প্রাণ হারিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *