শুক্রবার, জুন ২০

‘আয়নাঘর’-এর এই চেয়ারে ইলেক্ট্রিক শর্ট দেওয়া হতো বন্দীদের

|| নিউজ ডেস্ক ||

‘আয়নাঘর’ নামে খ্যাত ঢাকার তিনটি গোপন বন্দীশালা পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যেগুলো পূর্বে নির্যাতন কক্ষ এবং গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই গোপন বন্দীশালায় বন্দীদের এই চেয়ারে ইলেক্ট্রিক শর্ট দেওয়া হতো।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আয়নাঘর পরিদর্শন করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেদিন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন কমিশনের সদস্যরা।

আজ দুপুর ১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ফেসবুকে লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি। দেওয়ালের ওপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।

সুচিস্মিতা তিথি আরেক পোস্টে লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ। এই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেওয়াল রঙ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *