
|| মোস্তফা আল মাসুদ | বগুড়া ||
জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাগরিক পরিচয় যাচাইয়ে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন করেছেন পর্দানশীন নারীরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পুরনো পদ্ধতিতে চেহারা ও ছবি যাচাইয়ের নিয়ম বাতিল করা জরুরি। কারণ মানুষের মুখের গঠন পরিবর্তন হয়, যা পরিচয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হতে পারে না। বক্তারা অভিযোগ করেন, এই অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন:
১. বিগত ১৬ বছর ধরে যেসব নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা পর্দানশীন নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া থেকে বিরত রেখেছেন, তাদের বিচার করতে হবে।
২. জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাসহ সব নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে পরিচয় যাচাইয়ে ছবির পরিবর্তে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ কর্মকর্তার পরিবর্তে নারী কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মানববন্ধনে পর্দানশীন নারী ওয়ালিদা খাতুন বলেন, “ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি চালু থাকলে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের মতো জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। অথচ পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের ধর্মীয় প্রাইভেসি বজায় রেখে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীরা হুঁশিয়ারি দেন, যদি তাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে দেশব্যাপী বৃহৎ পরিসরে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।