
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
কিছুদিন আগে টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সা’দপন্থী আরেকজন সাথী গতরাতে (২৭ জানুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করছেন। মৃতের নাম মো: মিজানুর রহমান (৪২)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি চন্দথানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছবির উদ্দীন প্রামানিকের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি তাবলীগ জামাতের নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারী তথা মাওলানা সা’দপন্থীদের একজন সক্রিয় সদস্য ও ফুলবাড়ি থানার জিম্মাদার সাথী ছিলেন। মিজানুর রহমান মাওলানা সা’দপন্থীদের ৫ দিনের জোড় ইজতেমার কাজে অংশ নিতে টঙ্গীর ময়দানে এসে জুবায়েরেপন্থীদের আক্রমনে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য যে, বিগত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে মাওলানা সা’দপন্থীদের ৫দিনের জোড়কে কেন্দ্র করে জুবায়েরপন্থীদের সাথে সংঘর্ষে মাওলানা সা’দপন্থী তাবলীগের সাথী মো. বেলাল সহ মোট ৩ জন নিহত হয়েছিলেন। মিজানুর রহমান সেদিন জুবায়েরপন্থীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে ১মাস ১২দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে থেকে গতরাতে ইন্তেকাল করেন।
তার মৃত্যুতে তাবলীগের সাথীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন। টঙ্গীর এই হত্যাকাণ্ডে বারবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করে আসছেন সা’দপন্থীরা। বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে এর উস্কানীদাতা ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনারও দাবী জানিয়েছেন তারা। এর আগেও মাওলানা সা’দপন্থী মোঃ বেলাল হোসেনের হত্যাকান্ডের মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। উল্টো মাওলানা সা’দ অনুসারী সাথীর হত্যায় তাদেরই শীর্ষ মুরুব্বিদের নামে জুবায়েরেপন্থীরা হত্যা মামলা করে বলে অভিযোগ করেছে সা’দপন্থীরা।