মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১

“হে পতাকা”_কবিতা

হে পতাকা সূর্যোদয়ে তোমাকে দেখি নিত্য,
গাঢ় সবুজের মধ্যে লাল খচিত বৃত্ত।

তোমার জমিনে কিযে সবুজের সমারোহ,
কৃষকের হাসি তুমি যে হৃদপিণ্ডের আবোহ।

তোমাকে পেয়েছি অনেক চড়ামূল্যে,
নহে উপহার, রক্ত গঙ্গা পেড়িয়ে এসেছি কুলে।

ভালোবাসি তোমায়, তুমি যে আত্মপরিচয়ের কেতন,
সোনা ঝরা রোদের ঝিলিক উড্ডীয়মান হীরকের মতন।

হে পতাকা, তোমার পত পত করে উড়ার শব্দ,
হিমেল বাতাসে জুড়ায় যে প্রাণ হই মোরা মুগ্ধ।

তুমি জাতীয় পরিচয়ের ব্যানার ফেষ্টুন প্ল্যাকার্ড,
বিশ্ব গগণে আত্মমর্যাদাবাহী এক ফালি চাঁদ।

হে পতাকা সন্মান প্রর্দশন করি সমবেত তোমার তরে,
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বঙ্গোপসাগরের তীরে প্রতি ভোরে।

তোমার হাসি রাখবো অটুট করি দৃঢ়পণ,
সুর আর কল্লোলে জাগায় মনে শিহরণ।

তোমাকে পেয়েছি রক্তের প্লাবন মাড়িয়ে,
ত্যাগের মহিমায় মোরা বিশ্বকে ছাড়িয়ে।

হে পতাকা, তোমার ছত্রে উঠে রক্তলাল রবি,
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আর রুপসা পাথরিয়ার ছবি।

মানচিত্রের ইতিহাস তুমি আর ঐতিহ্যের স্মারক,
লাল সবুজের প্রচ্ছদ তুমি বাংলাদেশের মোড়ক।

বিশ্বের বুকে তুমি স্বাধীন জাতিসত্তার প্রতীক,
তুমি যে মোদের সজীব নিঃশ্বাস চেতনার আত্মীক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *