
|| সৈয়দ ওসমান বিন হাসনাইন | ইবি প্রতিনিধি ||
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র – নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক প্রধান সম্পাদক ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবি থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হুসাইন, অধ্যাপক ড. মো. ময়নুল হক ও অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ. বি. এম. জাকির হোসেন, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক এরশাদ উল্লাহ ভূইয়া, মোস্তফা তারিকুল হাসান, অধ্যাপক মাওলানা এ এম এম কামাল উদ্দিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা কাজী আবু বকর ও মো. জহিরুল ইসলাম।
আসাদুল্লাহ গালিব এবং শামীম হাওলাদারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট। এছাড়াও তালাবার সাবেক নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম সায়েম, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ বিলু, হাফেজ মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মোস্তফা আল মুজাহিদসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের হয় এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘তালাবায়ে আরাবিয়া, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সফল হোক, সফল হোক’, ‘আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সফল হোক, সফল হোক’, ‘ইবতেদায়ী জাতীয়করণ, করতে হবে করতে হবে’, ‘ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক, করতে হবে করতে হবে,’ ‘ইবি তার স্বকীয়তা, ফিরে পাক ফিরে পাক’, ‘বিপ্লব বিপ্লব, ইসলামী বিপ্লব’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। সেই আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন হিসেবে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত হলেও সেটা উপেক্ষিত। বর্তমানে ইসলামী শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষা হুমকির মুখে। তাই ইসলামী শিক্ষার বিস্তারে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে ১০০ নম্বরের ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আর ডাক্তারী শিক্ষাকে ইসলামী করার জন্য ইসলামী পাঁচটি বিষয় যুক্ত করলে কোনো ডাক্তার অনৈতিক হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল কাইয়ুম বলেন, “তালাবা মূলত ইসলামী শিক্ষাব্যাবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে। এমনকি বাংলাদেশের ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর স্বাধীনতা এবং ২৪ এর বিজয় অর্জনে তালাবা অবদান রেখেছে।”
সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।