|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
শিক্ষায় বৈষম্য দূর করে দ্রুত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সংগঠনটির ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুবায়েরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমির, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাওলানা মুহাম্মাদ ঈশা শাহেদী। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ এরশাদ উল্লাহ ভূঁইয়া। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মাওলানা ফারুক আহমাদ, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঁইয়া, ও মাওলানা মোঃ আব্দুল কাদির।
কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বকারী এক বিপ্লবী কাফেলা, যারা সূচনালগ্ন থেকেই মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বারবার বিতর্কিত পাঠ্যসূচি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের অনুরোধ জানানো হয় ইসলামী মূল্যবোধ বজায় রেখে বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করে নতুনভাবে পাঠ্যসূচি সাজানোর জন্য।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও এখনো একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা টিফিন থেকে শুরু করে বৃত্তিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, অথচ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্ররা এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষায় বৈষম্য দূর করে দ্রুত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ করতে হবে।
বক্তারা ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বলেন, মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মুকাদ্দাসকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এতে হাজার হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ, ও শিশুর প্রাণহানি ঘটছে। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েল, আমেরিকা, ও অন্যান্য জড়িত শক্তিদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জোরালো দাবি জানান।
উক্ত কাউন্সিলে মোঃ কাইয়ুমকে সভাপতি ও হাফেজ মোঃ ইমরানুল হককে প্রধান সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়৷