
|| হাফেজ মু. হাসান জামান ||
ইসলামের দাওয়াতি আন্দোলন হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত তাবলীগ জামাত, মুসলিম সমাজে ঈমানী শক্তি পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো মুসলমানদেরকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্য সৃষ্টি করা।
তাবলীগ জামাতের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মুসলমানদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে, তাদেরকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষার প্রতি আহ্বান জানান। তারা সরলতা, ধৈর্য এবং বিনয়ের সাথে ইসলামের শিক্ষা প্রচার করে, যাতে প্রতিটি মুসলমান তার ঈমানকে শক্তিশালী করতে পারে এবং আল্লাহর পথে সঠিকভাবে চলতে পারে। তাবলীগ জামাতের সাথীরা নিজেরা কয়েক দিনের জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে মেহনতের পথে (আল্লাহর রাস্তায়) বের হন, যা তাদের ঈমানী অবস্থাকে মজবুত করে। এই মেহনতের মাধ্যমে তারা নিজেরা হেদায়েতপ্রাপ্ত হন এবং অন্যদেরকেও হেদায়েতের পথে আহ্বান জানান।
ঈমানী মেহনতের প্রভাব
তাবলীগ জামাতের সদস্যদের এই ঈমানী মেহনত ব্যক্তি ও সমাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। তাদের প্রচেষ্টার ফলে বহু মানুষ দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হন এবং তাদের জীবনে ইসলামকে নতুন করে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হন। ঈমানী মেহনতের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, একতা এবং ইসলামের প্রতি দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
তাবলীগ জামাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি মানুষকে হেদায়েতের পথে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানায়। ইসলামের সঠিক পথ অনুসরণ করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা—এই মূলমন্ত্র নিয়ে তাবলীগ জামাত কাজ করে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের পথে ফিরে আসছে এবং তাদের ঈমানকে মজবুত করছে।
ঈমানী মেহনতের মাধ্যমে মুসলমানদের হেদায়েতের পথে ফিরে আসার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাপী চলা এই জামাতটি। এই আন্দোলন ইসলামের শান্তির বার্তা প্রচারে এবং মুসলিম সমাজের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই মেহনতের মাধ্যমে হেদায়েতের পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন
লেখক: ইসলামী গবেষক, রংপুর।