
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে জনতার রোষানলে থাকা পুলিশ বাহিনী কর্মবিরতিতে রয়েছে। এতে দেশের আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটায় রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাজধানীসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে পরিচ্ছন্নতা, থানা-সহ সরকারী স্থাপনা পাহারা, এমনকি সুশৃঙ্খল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সড়কে দায়িত্ব পালন করছে তারা।
রংপুরের ব্যস্ততম নগরীতেও আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেখা গেছে এক ভিন্ন চিত্র। সাধারণত ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকা দায়িত্ব পালন করছেন মাদ্রাসার ছাত্ররা। এই উদ্যোগে হাফেজ হাসান নামে এক মাদ্রাসার ছাত্র নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত করেছে।
হাসান, একজন নবম শ্রেণির ছাত্র। এই উদ্যোগের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সে। হাসানের কাজের মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা, যানবাহন চলাচলে সাহায্য করা এবং পথচারীদের সঠিক পথনির্দেশনা দেওয়া।
হাসান জানায়, প্রথমে তার মনে কিছুটা ভয় কাজ করেছিল। কিন্তু সে মনে করে, মানুষের সেবা করার মাধ্যমে সে তার দায়িত্ব পালন করতে পারছে। প্রতিদিনের চাপ এবং যানজট সামলানোর অভিজ্ঞতা হাসানকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
হাসান এবং তার সঙ্গীদের কাজের প্রশংসা করেছেন শহরের সাধারণ মানুষ। এক পথচারী বলেন, “এই ছেলেরা যে সাহস ও আত্মত্যাগ দেখাচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
হাসানের মতো শিক্ষার্থীরা আমাদের শহরে শৃঙ্খলা এবং সেবার এক নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে। তাদের দায়িত্বশীলতা এবং সেবার মানসিকতা আমাদের সমাজের জন্য এক অনুপ্রেরণা।