
|| প্রফেসর ড. মো: মযনুল হক, ইবি. কুষ্টিয়া ||
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘হামাস’ প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানে ইরানের নুতন প্রেসিডেন্ট প্যাজিসকিয়ানের সাথে বৈঠকের পরে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন।
إنا لله و إنا إليه راجعون.، رحمه الله رحمة واسعة و ٱسكنه في فسيح جنتك يا رب العالمين.
ইসরাইল এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
ইরানের ইস্পাহান শহরে ইহুদীরা বাস করে। ইহুদী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছাতার মতো জাল বিস্তার করে আছে। তবে দু’টো ঘটনা- এক. ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাইয়্যিদ রাইসী দুই. ইসমাইল হানিয়া এর মৃত্যুর পেছনে একই শক্তি কাজ করেছে বলে আমার বিশ্বাস। সেটি হতে পারে ইরানের বহিঃশত্রু ইসরাইল এর মোসাদ অথবা ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক খেলা।
প্রথমত রাইসী শিয়া সম্প্রদায়ের বাইরে সুন্নী ইসমাইল হানিয়ার দল হামাসকে প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্রের রসদ সরবরাহ এবং দ্বিতীয়ত সরাসরি ইসরাইলে হামলা করা কট্টর শিয়ারা পছন্দ করে নাই যার মাসুল দিতে হয়েছে প্রেসিডেন্টকে তার দেশের হেলিকপ্টার পাইলট কর্তৃক নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। আর শেষতক ইসমাইল হানিয়ার জীবনটাও হয়তো একই গোষ্ঠী ইসরাইল এর সাথে অন্য কোন পার্থিব স্বার্থ আদায়ের জন্যে করে থাকতে পারে।
ইমাম হুসাইন রা. এর সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তারা ইসমাইল হানিয়ার সাথেও করে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা। আল্লাহ ভালো জানেন। তবে ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ চরম ব্যর্থ এবং তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে ভংগুর যার সুযোগ অভ্যন্তরীণ কট্টর গোষ্ঠী ও ইসরাইলের মোসাদ যৌথভাবে নিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে।
লেখক : গবেষক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এবং অন্যতম জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।