
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
৪৯তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষ)-এর বিজ্ঞপ্তিতে “আরবি ও ইসলাম শিক্ষা” বিষয়ে শূন্য পদের চাহিদা প্রদানের দাবিতে এবং আরবি বিভাগকে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইবরাহিম নাফিস।
৪৯তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)-এর বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগের নাম। এর প্রতিবাদে এবং এটি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক নিয়োগের জন্যই কেবল ৪৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সরকারি কলেজের প্রভাষক পদ বেশি শূন্য থাকলে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ১১/০৯/২০১৮ তারিখে প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসএর পর থেকে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৬টি কলেজে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিভাগ রয়েছে। ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) কেবল সরকারি কলেজের প্রভাষক নিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে বিধায় আমরা আশাবাদী ছিলাম যে, বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ইসলামী শিক্ষার প্রভাষক পদ শূন্য দেখানো হবে। কিন্তু আরবি ও ইসলামী শিক্ষার কোনো পদ শূন্য নেই দেখে আমরা চরম হতাশ হয়েছি। যেসব কলেজে আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগ রয়েছে সেগুলোর শিক্ষকদের সাথে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে ৩৩টি ‘প্রভাষক’ পদ শূন্য রয়েছে।এছাড়া ১৬ জন প্রভাষক কিছু দিনের মধ্যেই পদোন্নতি পেয়ে যাবেন।
সচিবের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া পিএসসির চেয়ারম্যানকেও মৌখিকভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি।
এমনকি এই ৪৯তম বিসিএস(সাধারণ শিক্ষা) বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে ইসলামিক আইডোলজি পদে প্রভাষক নিয়োগে আরবি বিভাগকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত আরবি (বিষয় কোড:১০৬) এবং ইসলাম শিক্ষা (বিষয় কোড:১৩১) উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারতো।
তাই পূর্বের ন্যায় ইসলামিক আইডোলজি পদে আরবি বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।কারণ বাংলাদেশের স্বীকৃত সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে আরবি বিভাগ চালু রয়েছে তাতে ১০০ নম্বরের ইসলামিক আইডোলজি শিরোনামে কোর্স পড়ানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ -এর শূন্য পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আরবির শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমরা জোর দাবি জানান। সকল যৌক্তিকতা থাকা সত্ত্বেও দাবি না মানা হলে আইনি সহায়তা গ্রহণসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এই সময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।