
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই রাজধানীর পূর্বাচলে শুরু হতে যাচ্ছে ৩০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। আগামী ১ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরেন।
এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ৩২৪টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে অনলাইনের মাধ্যমে এসব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে বিআরটিসির ডেডিকেটেড শাটল বাস সার্ভিসের পাশাপাশি এবার যুক্ত করা হয়েছে স্বল্পমূল্যের ‘পাঠাও’ পরিবহন সেবা। এছাড়া প্রবেশ টিকিট সংগ্রহের জন্য থাকবে ই-টিকেটিং সুবিধা, যার ফলে কিউআর কোড স্ক্যান করেই দর্শনার্থীরা দ্রুত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
পরিবেশ রক্ষায় এবারের মেলায় পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে মেলা প্রাঙ্গণে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘এক্সপোর্ট এনক্লেভ’, যেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের সক্ষমতা প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’, যেখানে বিশেষ স্থিরচিত্র প্রদর্শনী থাকবে।
মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ৬টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
মেলার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা। তবে মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী এবং জুলাই আন্দোলনে আহতরা কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চললেও ছুটির দিনে তা রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
