সরকারি চাকরির সব ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাসের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল সোমবারও (৮ জুলাই) ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
রবিবার (৭ জুন) রাত ৮টায় শাহবাগ মোড়ে কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান ব্লকেড কর্মসূচির শেষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম।
এদিন পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন রাখেন তারা। একই কর্মসূচি পালিত হয় রাজধানীর আরও কয়েকটি স্থানে। এতে প্রায় অচল হয়ে যায় রাজধানী। যানজটের চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ব্লকেড কর্মসূচিতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমাদের দাবি যে যৌক্তিক তা ২০১৮ সালেই প্রমাণ করেছি। তখন তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবারও তিনি কার্যকর প্রদক্ষেপ নেবেন বলে আশাকরি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আমাদের দাবি হয় পূরণ হবে নয়তো আমাদের দেশ ছাড়তে হবে। যে দেশে মেধাবীদের সম্মান নেই সে দেশে মেধাবীরা থাকে না।
তারা বলেন, সকল ক্ষেত্রে, সকল ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে। সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমাদের কর্মসূচি চলবে। আগামীকাল থেকে আমাদের পূর্ব ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-বর্জন চলমান থাকবে। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হবে।
আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে জানিয়ে সমন্বয়কারীরা বলেন, আজকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ব্লক করেছি, কাল ফার্মগেট ছাড়িয়ে যাবো।
বেশ কিছু দিন ধরে টানা আন্দোলন করে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা শনিবার (৬ জুলাই) শাহবাগের অবরোধ থেকে প্রথমবারের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণাকালে বলেন, আগামীকাল রবিবার বিকেল ৩টা থেকে সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে।
নতুন এই কর্মসূচির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, শুধু শাহবাগ মোড় নয়, ঢাকা শহরের সায়েন্সল্যাব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিল প্রতিটি পয়েন্টে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে আসবেন। ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা তারা জেলায়-জেলায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহাসড়কগুলো অবরোধ করবেন।