
|| নিউজ ডেস্ক ||
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।)
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক এই বিচারপতি। সেখানে তার হার্টে একটি অপারেশন হয়। হার্টে পেসমেকারও বসানো হয়েছিল।
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাইমারি ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি পেয়ে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৫১ সালে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, আনন্দ মোহন কলেজ থেকে আই, এস, সি ও বি, এস, সি ডিগ্রি; সরকারি বৃত্তি নিয়ে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড ও এম এ, ইন এডুকেশন ডিগ্রি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এম,এ ও এল,এল,বি ডিগ্রি লাভ করেন।
আবদুর রউফ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে তদানীন্তন ঢাকা হাইকোর্টে আইন-ব্যবসায় নিয়োজিত হন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২৯ জানুয়ারি ১৯৮২ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি পদে থাকাকালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাকে ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেন, তিনি বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদ ত্যাগ করেন ও বিচারপতি এ কে এম সাদেক তার স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন। পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন ও জুন ১৯৯৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
সাবেক এই বিচারপতি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় শিশু সংগঠন ফুলকুড়ির সভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।