সোমবার, আগস্ট ১৮

সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব

দুনিয়াবী দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভের জন্য সাধারণ শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একজন মানুষের শুধুমাত্র একটি ভালো চাকরি, ভালো একটা পজিশনই সবকিছু নয়। ভালো একজন মানুষ না হতে পারলে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সে অনেক সময় কল্যাণকর না হয়ে বোঝা হয়ে দাড়ায়। এ জন্য প্রয়োজন সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জন, যা মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ এবং সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করে।

সাধারণ শিক্ষা যা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করা হয়। এ শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে, যেমন- ভাষা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত ইত্যাদি। এ শিক্ষা ব্যক্তির কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, নৈতিক শিক্ষা মানুষের মধ্যে সঠিক-ভুল, ন্যায়-অন্যায়, এবং ভালো-মন্দের ধারণা ও মানবিক গুণাবলী সৃষ্টি করে।
মানুষের প্রতি সহানুভূতি, সততা, সহিষ্ণুতা এবং দায়িত্ববোধের বিকাশ ঘটায়। মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে ন্যায়-অন্যায় ও শৃঙ্খলাবোধ শিখতে সহায়তা করে। যার প্রভাব সমাজের উপর ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে। মানুষকে সৎ ও সুনাগরিক পরোপকারী, কল্যাণকামী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নৈতিক শিক্ষা অর্জন খুবই জরুরী।

আজ আমরা সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাই, এমন কোনো অপরাধ নেই যার সাথে শিক্ষিত লোক জড়িত নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। এজন্য, সুন্দর একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জন খুবই জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *